• ‘বল’ নিয়ে আসতেই চক্ষু চড়কগাছ, কুমড়ো পাড়তে গিয়ে  বোমা উদ্ধার বালকের
    বর্তমান | ২৬ আগস্ট ২০২৪
  • সংবাদদাতা, কালিয়াচক: বল নাকি বোমা? দেখে একেবারেই বোঝার উপায় নেই! উপস্থিত বুদ্ধির জেরে বড় বিপদ থেকে রক্ষা পেল নাবালক ও তার পরিবার। রবিবার সকালে আচমকা দুই গাড়ি পুলিস ঢুকতে দেখেন বৈষ্ণবনগর থানার চকসেহেরদি গ্রামের ভাদুটোলার বাসিন্দারা। গাড়ি গিয়ে থামে মনিরুল শেখের বাড়ির সামনে। মনিরুল বাড়িতে ছিলেন না বলে তাঁর স্ত্রী নাজমিন বিবি বেরিয়ে আসেন। তাঁর মুখে সব শুনে পুলিশকর্মীরা গাছ ধরে ছাদে ওঠেন। তখনই জানাজানি হয় মনিরুলের বাড়ির ছাদে তাজা বল বোমা রয়েছে। খবর ছড়িয়ে পড়তে ভিড় জমান বাসিন্দারা। বোমা উদ্ধার করতে দুপুর নাগাদ বম্ব স্কোয়াড কর্মীরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। সেটি পার্শ্ববর্তী লিচু বাগানে নিষ্ক্রিয় করার পর নিশ্চিন্ত হন বাসিন্দারা। 

    নাজমিন বলেন, স্বামী সকালে কাজে চলে যাওয়ায় সব্জি কেনা হয়নি। রান্নার জোগার করতে ছাদ থেকে কুমড়ো ও শাক আনার জন্য নাবালক ছেলেকে উঠিয়েছিলাম। সে একটি বল দেখিয়ে বলে একটা বল পেয়েছে। তবে সেটা খুব ভারি। ভয় পেয়ে ছেলেকে আস্তে করে বল রেখে নেমে আসতে বলি। 

    প্রথমে খুব ভয় পেয়ে গিয়েছিলেন নাজমিন। কী করবেন বুঝতে না পেরে সিভিক ভলান্টিয়ার ভাইকে ফোন করে ঘটনাটি জানান। ভাই তখন ভিলেজ পুলিসের ফোন নম্বর দিলে তাঁকে বিষয়টি জানান নাজমিন। ভিলেজ পুলিস ঘটনাস্থলে যাওয়ার পর বৈষ্ণবনগর থানায় খবর দেন। 

    কিন্তু ওই বোমা বাড়ির ছাদে কীভাবে এল? নাজমিন বলেন, সেটা আমি বলতে পারব না। হয়তো কেউ বোমাটি আমাদের বাড়িতে ছুড়েছিল। কিন্তু কপাল ভালো কুমড়ো গাছের মাচায় আটকে যাওয়ায় ফাটেনি। নাহলে বড় বিপদ ঘটত।

    নাজমিনের প্রতিবেশী তথা প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্য মিঠু শেখের মন্তব্য, পরিবারটি অত্যন্ত নিরীহ। সাতে পাঁচে থাকেন না তাঁরা। অথচ তাঁর বাড়ি লক্ষ্য করে কেন বোমা ছোড়া হল বুঝতে পারছি না। পুলিসকে বলব দ্রুত তদন্ত করে দোষীকে গ্রেপ্তার করতে। 

    বৈষ্ণবনগর থানার আইসি বিপ্লব হালদার জানিয়েছেন, বোমাটি কোথা থেকে ও কীভাবে বাড়ির ছাদে এল খতিয়ে দেখা হচ্ছে। (এই বোমাটি উদ্ধার হয়। - নিজস্ব চিত্র।)
  • Link to this news (বর্তমান)