• ঢোকে না বেসরকারি বাস, অন্য যাত্রীবাহী গাড়ি, ২৫ লক্ষের তপন বাসস্ট্যান্ড ‘পরিত্যক্ত’
    বর্তমান | ২৬ আগস্ট ২০২৪
  • সংবাদদাতা, তপন: প্রায় ২৫ লক্ষ টাকায় নির্মিত তপন বাসস্ট্যান্ডে ঢোকে না কোনও বেসরকারি বাস বা যাত্রীবাহী গাড়ি। রাতে শুধুমাত্র দু’টি সরকারি বাস রাখা হয় সেখানে। স্থানীয়রা এখন স্ট্যান্ডটিকে পরিত্যক্ত বলে ব্যঙ্গ করতে শুরু করেছেন। তপন চৌরঙ্গী থেকে গঙ্গারামপুর, দাঁড়ালহাট, লস্করহাট হয়ে বালুরঘাট এবং করদহর দিকে চারটি রুট রয়েছে। বাসগুলি স্ট্যান্ডে ঢুকে যাত্রী না তোলায় প্রায় এক কিলোমিটার দূরে চৌরঙ্গীতে বাড়ছে যানজট। এলাকাবাসীদের অভিযোগ, বাসগুলি চৌরঙ্গীতে দাঁড়িয়ে থাকার পর যাত্রী তুলে রওনা দিচ্ছে। এছাড়া কয়েকশো টোটো সেখানে রাস্তা দখল করে দাঁড়িয়ে থাকে। বাস মালিকদের দাবি, তপন বাসস্ট্যান্ডে যাত্রী পাওয়া যায় না। ফলে চৌরঙ্গী থেকে বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত প্রায় এক কিমি রাস্তা অতিরিক্ত তেল পুড়িয়ে যেতে চান না চালকরা। যাত্রীদেরও বাসস্ট্যান্ড যেতে হলে টোটো ভাড়া গিয়ে যেতে হয়। টাকা বাঁচাতে তাঁদের মধ্যেও চৌরঙ্গী থেকে বাস ধরার প্রবণতা বাড়ছে।

    ২০২০ সালে লকডাউনের আগে সব যাত্রীবাহী গাড়ি তপন ব্যাসস্ট্যান্ডে ঢুকত। তারপর থেকে পরিস্থিতির আমূল পরিবর্তন হয়েছে। এখন খাঁ খাঁ করে বাসস্ট্যান্ড।

    বাস মালিক ইউনিয়নের কোষাধ্যক্ষ বাপি লাহার কথায়, ২০০৪ সালে প্রায় ২৫ লাখ টাকা ব্যয়ে তপন বাসস্ট্যান্ড নির্মাণ হয়। থানা মোড় থেকে বাসস্ট্যান্ড প্রায় দেড়শো মিটার রাস্তা দীর্ঘদিন বেহাল। সেপথে গাড়ি চালালে যন্ত্রাংশ বিকল হয়। রাস্তাটি সংস্কার করলে এবং অন্য সব যাত্রীবাহী গাড়ি বাসস্ট্যান্ডে ঢুকলে  বেসরকারি বাসও সেখানে যাবে। বাসস্ট্যান্ডকে কেন্দ্র করে আশেপাশে বেশকিছু দোকান বসেছিল। বাসস্ট্যান্ড সেভাবে ব্যবহার না হওয়ায় দোকানদারদের রোজগারেও ভাটা পড়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা মলয় কুমার রায়ের মন্তব্য, অপরিকল্পিতভাবে তৈরি হয়েছে তপন বাসস্ট্যান্ড। চৌরঙ্গী থেকে যাত্রী ওঠানামা হওয়ায় যানজটে সমস্যা বাড়ছে সাধারণ মানুষের। প্রশাসনের অবিলম্বে বিষয়টি নিয়ে প্রদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।
  • Link to this news (বর্তমান)