• হাতির পিঠে চেপেই গন্ডারের উপর নজরদারি গোরুমারা জাতীয় উদ্যানে
    বর্তমান | ২৬ আগস্ট ২০২৪
  • সংবাদদাতা, জলপাইগুড়ি: টেপ ওয়ার্মের (ফিতাকৃমি) সংক্রমণে জলদাপাড়ায় একাধিক গন্ডারের মৃত্যু হয়েছে। সেই ঘটনা জেরে এবার গোরুমারা জাতীয় উদ্যানের গন্ডারগুলির শারীরিক পরিস্থিতির ওপর নজরদারি শুরু করল জলপাইগুড়ি বন্যপ্রাণ বিভাগ। হাতির পিঠে চেপে বনকর্মীরা গন্ডারগুলির উপর নজর রাখছেন। বিষয়টিতে নজর রেখেছেন পশু চিকিৎসকরাও। নজরদারি করা হচ্ছে ড্রোনের মাধ্যমে।

    রবিবার উত্তরঙ্গের মুখ্য বনপাল জেভি ভাষ্কর বলেন, জলদাপাড়ার মতো ঘটনা গোরুমারায় দেখা যায়নি। তবে গোরুমারার দিকে নজর রাখা হয়েছে।

    বন্যপ্রাণ বিভাগ জানিয়েছে, টেপওয়ার্ম গন্ডারের মতো হাতি এমনকি প্রতিটি গবাদিপশুর পাকস্থলির মধ্যে থাকে। তবে এটি কোনও পশুর মধ্যে কম, কোনও পশুর মধ্যে বেশী পরিমাণে থাকে। এটির পরিমাণ অত্যাধিক হয়ে গেলেই পশুর শরীরে সমস্যা তৈরি হয়। টেপওয়ার্ম থেকে রক্ষা করার জন্য গবাদি পশুকে আগে থেকে ওষুধ দেওয়া গেলেও হাতি, গন্ডারের ক্ষেত্রে তা সম্ভব হয় না। যে কারনেই জলদাপাড়ায় এই ঘটনা। 

    গত ২০২২ সালে জলদাপাড়ার গন্ডারের মৃত্যুর ঘটনা প্রথম সামনে আসে। তারপরই জলদাপাড়ায় উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু, এখনও পর্যন্ত গোরুমারার গন্ডারের মধ্যে এই ধরনের ঘটনা দেখা যায়নি। বিভাগের বক্তব্য, দু’বছর আগের সমীক্ষা অনুসারে ৫৫ থেকে ৬০টি গন্ডার রয়েছে গোরুমারা জাতীয় উদ্যানে রয়েছে। এগুলিকে রক্ষা করতে বনপ্রাণ বিভাগ ব্যবস্থা নিয়েছে।

    এদিন এই বিষয়ে উত্তরঙ্গের মুখ্য বনপাল বলেন, টেপওয়ার্মের কারণে জানুয়ারি থেকে এখনও পর্যন্ত জলদাপাড়ায় তিনটি গন্ডারের মৃত্যু হয়েছে। এই কারণে বিভাগের পক্ষ থেকে জাতীয় উদ্যানে অন্যান্য বন্যপ্রাণের পাশাপাশি গন্ডারের ওপরেও নজর রাখা হচ্ছে। বনকর্মীদের সতর্ক করার পাশাপাশি  হাতি ব্যবহার করে গরাতি সহ বিভিন্ন বিটে গিয়ে নজর রাখাছেন। আবার ড্রোন উড়িয়ে চলছে নজরদারি। কোন গন্ডারের শারীরিক অবস্থা সামান্য হেরফের নজরে পরলেই দ্রুত পশু চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে। যদিও এখনও পর্যন্ত সেই রকম পরিস্থিতি নজরে আসেনি।

    তাঁর সংযোজন, এই ধরনের টেপওয়ার্ম সংক্রমণ নির্দিষ্ট এলাকার মধ্যে রয়েছে। আগেও গোরুমারার গন্ডারে ওপরে পরীক্ষা চালানো হয়েছে। কিন্তু ল্যাব থেকে সেইরকম রিপোর্ট দেওয়া হয়নি। -নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)