নিজস্ব প্রতিনিধি, শিলিগুড়ি: এনজেপিতে স্ট্যান্ডের জায়গা দখল নিয়ে সিটিঅটো ও টোটোচালকদের মধ্যে হাতাহাতি। রবিবার এ ঘটনায় সকাল ৮টা থেকে ঘণ্টা খানেক যাত্রী পরিষেবা বন্ধ রাখেন অটো ও টোটোচালকরা। ফলে সকালে ট্রেন থেকে নেমে যাত্রীরা দুর্ভোগে পড়েন। পরে স্থানীয় ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার শম্পা নন্দী ঘটনাস্থলে এসে টোটো ও অটোচালকদের সঙ্গে কথা বলেন। আইএনটিটিইউসি’র এনজেপি শাখার নেতৃত্বের হস্তক্ষেপে দু’পক্ষই আলোচনায় বসতে রাজি হয় এবং ৯টার দিকে পরিষেবা স্বাভাবিক হয়।
স্থানীয় সূত্রের খবর, যাত্রী তোলা নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে গণ্ডগোলের সূত্রপাত। স্ট্যান্ডেই হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন টোটো ও সিটিঅটো চালকদের কয়েকজন। এরপরে স্ট্যান্ডের জায়গা নিয়ে ঝামেলা শুরু হয়। অন্য টোটো এবং অটোচালকরা প্রতিবাদে স্ট্যান্ড থেকে রাস্তায় গাড়ি বের করবেন না বলে জানিয়ে দেন। স্টেশন থেকে বাইরে বেরিয়ে পার্কিংলটে এসে যাত্রীরা দেখেন গাড়ি চলাচল বন্ধ। এতে তাঁরা বিপাকে পড়েন। অনেকেই হেঁটে মূল রাস্তার দিকে রওনা হন।
এদিকে, ঘটনার খবর পেয়ে স্টেশনে পৌঁছন আইএনটিটিইউসি’র শিলিগুড়ি-৩ টাউন সভাপতি সুজয় সরকার। তিনি স্টেশনে পৌঁছে দু’পক্ষকে নিয়ে প্রাথমিক আলোচনা করে টোটো ও সিটিঅটো পরিষেবা স্বাভাবিক করার নির্দেশ দেন। এরপর সমস্যা মিটিয়ে নিতে দুপুরে বৈঠক ডাকেন। সেই বৈঠকের পর সুজয় সরকার বলেন, যাত্রী তোলা নিয়ে ঝামেলা হয়েছিল। পরে স্ট্যান্ডের জায়গা নিয়ে বচসা হয়। তবে হাতাহাতির ব্যাপারে কিছু জানি না। দু’পক্ষের সঙ্গে কথা বলে সমস্যা মিটিয়ে নেওয়া হয়েছে। আমরা রেলের সঙ্গে কথা বলে স্ট্যান্ডের জন্য আরও জমি চেয়েছি। জমি পেলে আর সমস্যা থাকবে না।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নতুন স্ট্যান্ডটি তৈরির পরেই জায়গা নিয়ে টোটো ও সিটিঅটো চালকদের মধ্যে সমস্যা হচ্ছে। ছোটখাট ঝামেলা লেগেই আছে। এদিন তা হাতাহাতিতে গড়ায়। যদিও কেউ হাসপাতালে ভর্তি হননি। কাউন্সিলার বলেন, সমস্যা একটা হয়েছিল। মিটে গিয়েছে। (নিজস্ব চিত্র।)