• নীলকুঠির ধ্বংসাবশেষ পড়ে অবহেলায়, মদনাবতীকে ঘিরে পর্যটন কেন্দ্রের দাবি
    বর্তমান | ২৬ আগস্ট ২০২৪
  • সংবাদদাতা, হবিবপুর: প্রায় বিলুপ্তির পথে উইলিয়াম কেরির নীলকুঠির ভগ্নাবশেষ সহ বহু প্রাচীন ঐতিহাসিক নিদর্শন। ইতিহাস সমৃদ্ধ এই নির্দশনের বেহাল অবস্থা দেখে হতাশ পর্যটকরা। বামনগোলা ব্লকের মদনাবতী গ্রাম পঞ্চায়েতের নালাগোলা শালমাহাড় মোড় থেকে প্রায় দুই কিমি ভিতরে মদনাবতী গ্রামে ব্রিটিশ আমলের বেশ কিছু নিদর্শন পড়ে রয়েছে। যা আজও জেলার ঐতিহ্য বহন করে চলে। এলাকাজুড়ে ইতিহাসের বহু নিদর্শন রয়েছে এখনও। পর্যটক ও গবেষকরা মাঝেমধ্যেই স্বচক্ষে দেখতে আসেন এই নির্দশনগুলি। তবে সংস্কার বা নজরদারির অভাবে বিলুপ্তির পথে এই নিদর্শনগুলি। পর্যটনের বিকাশে মদনাবতীকে নিয়ে কী করা যায়, বিষয়টি দেখছেন বামনগোলার বিডিও মনোজিৎ রায়। 

    গবেষক অরুণকান্তি বালা জানান,অষ্টাদশ শতাব্দীর শেষের দিকে উইলিয়াম কেরি মদনাবতীতে নীলকুঠির ম্যানেজারের দায়িত্ব পান। পাঁচ বছরের বেশি সময় ধরে এখানে ছিলেন। মদনাবতী গ্রামেই উত্তরবঙ্গের প্রথম মুদ্রনযন্ত্র বসিয়েছিলেন তিনি। ১৭৯৬ সালে হঠাৎ তাঁর পুত্র পিটার কেরির মৃত্যু হয়। পিটারের সমাধি আজও গ্রামেই রয়েছে। নীলকুঠির পাশে একটি সুড়ঙ্গ ছিল, সেটাও এখন বন্ধ। মুদ্রনযন্ত্রটি যে ঘরে রাখা ছিল সেই ঘরটিও রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে নষ্ট হয়ে গিয়েছে। ইতিহাস সমৃদ্ধ এই জায়গাটি সংস্কার করে পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার  দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা। এলাকার কাঞ্চন রায় জানান, মদনাবতীতে কেরি সাহেবের নীলকুঠির নিদর্শন দেখতে দেশ-বিদেশ থেকে বহু পর্যটকএখানেআসেন। নীলকুঠির ধ্বংসাবশেষের নিদর্শনগুলি দেখে চলে যান। ধ্বংসাবশেষগুলি জঙ্গলে ঢেকে রয়েছে।

    স্থানীয়দের মতে, প্রশাসন এই ধ্বংসাবশেষগুলিকে বাঁচিয়ে রেখে জায়গাটিকে যদি পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলে তাহলে এলাকার মানুষেরও কর্মসংস্থান হবে। আগে মদনাবতীতে স্থানীয়রাই উদ্যোগ নিয়ে কেরি মেলা বসাতেন। মেলায় কবি, সাহিত্যিক, শিল্পীরা আসতেন। সাহিত্যবাসর হতো। সরকারি কোনও সহায়তা না পেয়ে পরে সেটাও বন্ধ হয়ে যায়। বিষয়টি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে বলেও বিডিও জানান। (মদনাবতীতে নীলকুঠির অস্তিত্ব বিলুপ্ত হওয়ার মুখে।-নিজস্ব চিত্র)
  • Link to this news (বর্তমান)