• হেমন্ত মুখোপাধ্যায়-বেলেঘাটা রুটে মেট্রো চালু কবে, চূড়ান্ত অনিশ্চয়তা
    বর্তমান | ২৬ আগস্ট ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: হেমন্ত মুখোপাধ্যায় (রুবি) থেকে বেলেঘাটা পর্যন্ত রুটে যাত্রী নিয়ে মেট্রোর দৌড় কবে শুরু হবে, তা নিয়ে চূড়ান্ত অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। কারণ, এই রুটে মেট্রোর বাণিজ্যিক পরিষেবা শুরু হওয়া নিয়ে প্রথম থেকেই টালবাহানা চলছিল। যাবতীয় কাজ শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও কবি সুভাষ (গড়িয়া স্টেশন) থেকে হেমন্ত মুখোপাধ্যায় পর্যন্ত পরিষেবা শুরু করতে এক বছর লেগে গিয়েছিল। এই মেট্রোপথে যাত্রী পরিষেবা চালুর জন্য ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতেই কমিশনার অব রেলওয়ে সেফটির (সিআরএস) অনুমতি মিলেছিল। পরিষেবা শুরুর আগে এই অনুমোদন আবশ্যক। কিন্তু অজানা কোনও কারণে এক বছরের বেশি সময় ধরে প্রস্তুত মেট্রোপথ কার্যত ফেলে রাখা হয়। অথচ এই সময়কালে মেট্রো করিডরের একাধিক স্টেশনের বিদ্যুৎ, রক্ষণাবেক্ষণ সহ যাবতীয় খরচ মেটাতে হয়েছে। এভাবে কোটি কোটি টাকা কার্যত জলে গিয়েছে। কিন্তু কেন পরিষেবা চালু করা যাচ্ছিল না, তার কোনও সদুত্তর দিতে পারেননি মেট্রোকর্তারা। ফের একই ঘটনা ঘটছে হেমন্ত মুখোপাধ্যায় থেকে বেলেঘাটা রুটে। চলতি বছরের শুরুতেই মুখ্য সিআরএস জনককুমার গর্গ এই রুট পরিদর্শন সেরে গিয়েছেন। কিন্তু আট মাস কেটে গেলেও চালু হয়নি যাত্রী পরিষেবা।

    মেট্রো ভবনের এক কর্তা জানান, কর্মী সঙ্কট চলছে গোটা জোনে। সেই সঙ্গে প্রতি মাসে অনেক কর্মচারী অবসর নিচ্ছেন। তাছাড়া, ভারতীয় রেলের আওতায় থাকা দেশের একমাত্র এই মেট্রো জোন লোকসানের দিক থেকে দশকের পর দশক প্রথম স্থানে রয়েছে। তিনি আরও বলেন, ‘কর্মীর আকালে ইতিমধ্যেই কলকাতা মেট্রোর আওতায় থাকা তিনটি স্টেশন থেকে স্থায়ী টিকিট কাউন্টার তুলে দেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে একটি স্টেশন হল কবি সুকান্ত, যা কবি সুভাষ-হেমন্ত মুখোপাধ্যায় রুটেই পড়ে। আগামী দিনে এই রুটের আরও কিছু স্টেশনের জন্যও একই পরিকল্পনা রয়েছে। তাই এই সম্প্রসারিত অংশে পরিষেবা চালুর আগে পর্যাপ্ত কর্মীর জোগান নিয়েই সংশয় রয়েছে। তাছাড়া, অটোমেটিক সিগন্যালিং সিস্টেম এখনও বসানো যায়নি।’ এক্ষেত্রেও  রাজনৈতিক কারণে বাংলার প্রতি বিমাতৃসুভল আচরণের অভিযোগ উঠছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে। ইতিমধ্যে ১০০ দিনের কাজ, আবাস সহ একাধিক কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা আটকে রেখে বাংলাকে বঞ্চনার ইস্যুতে ‘জোড়াফুল’ ও ‘পদ্মফুল’-এর সংঘাত জাতীয় পর্যায়ে পৌঁছেছে। রাজ্যের শাসক শিবিরের অভিযোগ, পর্যাপ্ত টাকা বরাদ্দ না করায় বছরের পর বছর কবি সুভাষ-এয়ারপোর্ট মেট্রোর কাজ অবহেলিত হয়ে চলেছে। খেসারত দিতে হচ্ছে আম জনতাকে।      
  • Link to this news (বর্তমান)