• এবার নজরে লালবাজারের আধিকারিকরা
    বর্তমান | ২৬ আগস্ট ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: আর জি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনার তদন্তে এবার নজরে লালবাজারের  আধিকারিকরা। তাঁদের তদন্তে কোনও খামতি ছিল কি না, সেটাই খতিয়ে দেখার কাজ শুরু করেছে এজেন্সি। অস্বাভাবিক মৃত্যুর ক্ষেত্রে পুলিস কী পদ্ধতি মেনে চলে, তাই নিয়ে খোঁজখবর করছে তারা। রবিবারই লালবাজারের এক কর্তার বয়ান রেকর্ড করেন তদন্তকারীরা।

    খুন ও ধর্ষণের ঘটনার তদন্তে আর জি করের ভিতরে থাকা আউটপোস্টের পুলিস কর্মীদের দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করেন সিবিআই আধিকারিকরা। ওই তরুণীর দেহ কোথায় কী অবস্থায় পড়েছিল, কারা পুলিস কর্মীদের খবর দিলেন, এই সংক্রান্ত তথ্য জানার কাজ করেছেন। সেখান থেকে গুরুত্বপূর্ণ বেশকিছু সূত্র মিলেছে বলে খবর। এরপর সিবিআইয়ের তদন্তকারীরা লালবাজারের তদন্ত প্রক্রিয়ায় কোনও ফাঁক এবং পদ্ধতিগত  কোনও ভুল ছিল কি না, সেটা জানার প্রক্রিয়া শুরু করেছেন। তদন্তকারীরা জানতে চাইছেন, অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা কেন রুজু হল? এক্ষেত্রে কী নিয়ম মেনে চলে কলকাতা পুলিস। খুন বা ধর্ষণের ঘটনার ক্ষেত্রে ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিস প্রথমে অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পর্যন্ত অপেক্ষা করে কি না ইত্যাদি। আর জি করের ক্ষেত্রে পদ্ধতিগত কী ব্যবস্থা নিয়েছিলেন তদন্তকারীরা, তা জানতেই রবিবার সল্টলেকে সিজিও কমপ্লেক্সে আসতে বলা হয় লালবাজারের এক আধিকারিককে। নিয়মমাফিক দুপুরে তিনি সেখানে যান। সূত্রের খবর, তাঁর কাছ থেকে জানতে চাওয়া হয় অস্বাভাবিক মৃত্যু মামলা কীভাবে করা হয়? ইনকোয়েস্টের পদ্ধতি কী রয়েছে এবং কারা তা করেন। এই সংক্রান্ত একাধিক বিষয় বিস্তারিতভাবে জানতে চান সিবিআই অফিসাররা। পাশাপাশি আর জি করের তরুণী মৃত্যুর ক্ষেত্রে কেন অস্বাভাবিক মৃত্যুর কেস রুজু করা হল, তার ব্যাখ্যা চাওয়া হয় বলে খবর। ওই কর্তা আইন ও যুক্তি দিয়ে জানিয়েছেন, সবটাই রুল বুক মেনে করা হয়েছে। কোথাও কোনও ফাঁক নেই। তদন্তে কোনও ঢিলেমি দেওয়া হয়নি। কেন এফআইআর রাতে করা হল, সেই বিষয়টি তুলে ধরেছেন সিবিআইয়ের কাছে। তাঁর বক্তব্য রেকর্ড করা হয়। পাশাপাশি ধর্ষণ ও খুনের মামলার তদন্তে কলকাতা পুলিসের সিটের টেকনিক্যাল টিমের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন তদন্তকারীরা। 
  • Link to this news (বর্তমান)