• ছাড় পেতে শুধু জুলাই মাসেই ২৫০০ আবেদন,  সম্পত্তি করে পুরনো নিয়মের সুযোগ নিতে হুড়োহুড়ি  
    বর্তমান | ২৬ আগস্ট ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: ১ আগস্ট থেকে সম্পত্তি করের ক্ষেত্রে নয়া ছাড় লাগু হয়েছে কলকাতা পুরসভায়। এতদিন সম্পত্তি করের ক্ষেত্রে যে বিপুল ছাড় পেতেন নাগরিকরা, ওই দিন থেকে সেই সুবিধা বাতিল হয়ে গিয়েছে। তাই শেষ বেলায় ছাড়ের সুযোগ নিতে বহু আবেদন জমা পড়েছে। পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, ৩১ জুলাই পর্যন্ত পুরনো ‘ওয়েভার স্কিম’ চালু ছিল। শুধুমাত্র জুলাই মাসেই প্রায় ২৫০০ আবেদন জমা পড়েছে। এর মধ্যে এখনও পর্যন্ত দু’হাজারের বেশি (২০১৬টি) আবেদন মঞ্জুর করেছে পুর-কর্তৃপক্ষ। 

    পুরনো ওয়েভার অনুযায়ী সম্পত্তি করের সুদের উপর ৫০ শতাংশ এবং পেনাল্টি বা জরিমানায় ৯৯ শতাংশ ছাড় মিলত। সারা বছরই এই সুবিধা পেতেন নাগরিকরা। নতুন যে ব্যবস্থা লাগু হয়েছে, তাতে যে করদাতার যত বেশিদিন ধরে বকেয়া পড়ে রয়েছে, তিনি তত কম ছাড় পাচ্ছেন। চালু হয়েছে ‘গ্রেড’ সিস্টেম। এক থেকে ১০ বছর বা তার বেশি সময়সীমাকে চারভাগে ভাগ করে ছাড়ের পরিমাণ নির্ধারণ করা হয়েছে। পুরসভা সূত্রে খবর, চলতি বছর এপ্রিল মাস থেকেই নয়া ছাড় চালুর চেষ্টা করেছিল কর্তৃপক্ষ। লোকসভা নির্বাচন চলার কারণে তা সম্ভব হয়নি। তাই ৩১ জুলাই পর্যন্ত আগের ছাড়ের সময়সীমা বৃদ্ধি করা হয়। এক পুরকর্তা বলেন, ‘পুরনো হারে সম্পত্তি করে ছাড়ের জন্য শেষ দিকে বিপুল চিঠি জমা পড়েছে। ইতিমধ্যে শুধু জুলাইয়ে জমা পড়া ২০১৬টি আবাদেন মঞ্জুর করা হয়েছে। এর বাইরেও বহু আবেদন থাকতে পারে।’ বিষয়টি ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, ‘ওয়েভারের আবেদন অনলাইনে হয় না। পুরভবনে মেয়র, কমিশনার, সচিবের অফিস সহ শহরের বিভিন্ন পুর-কার্যালয়ে আবেদন জমা করতে হয় নগিরিকদের। আবেদন মঞ্জুর করার সময় তা অনলাইনে তোলা হয়। এখনও পর্যন্ত অনলাইনে যে তথ্য উঠেছে, তা থেকেই এই হিসেব সামনে আসছে। আরও ৫০০ থেকে ৬০০ আবেদন মঞ্জুর হওয়ার জন্য পাইপলাইনে থাকতে পারে।’ পুরসভার সম্পত্তি কর মূল্যায়ন ও রাজস্ব আদায় বিভাগ সূত্রে খবর, মে মাসে এ সংক্রান্ত ১২টি এবং জুনে ৭৩০টি আবেদন মঞ্জুর করা হয়েছে। 

    সম্প্রতি একটি নির্দেশিকাও জারি করে পুরসভা। তাতে বলা হয়, ছাড়ের আবেদন যদি ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে জমা পড়ে, সেই আবেদন মঞ্জুর করতেই হবে। এক অফিসার জানান, মেয়র, ডেপুটি মেয়র, কমিশনার, সচিবালয়েও নানা জায়গা থেকে নাগরিকরা এসে আবেদন জমা করেছেন। সেক্ষেত্রে ৩১ জুলাই পুরভবনে যে আবেদন জমা পড়েছে, তা একাধিক শীর্ষ আধিকারিকের হাত ঘুরে সংশ্লিষ্ট বিভাগে পৌঁছতে কিছুদিন সময় লাগবে। তাই কতজন আগের নিয়মে ছাড় পেতে আবেদন করেছেন, সেই চূড়ান্ত সংখ্যা এখনই বলা সম্ভব নয়। 
  • Link to this news (বর্তমান)