• ৫ মাসেও শেষ হল না সিসি ক্যামেরা বসানোর কাজ, নাগরিকদের সঙ্গে প্রশ্ন তুলছেন দক্ষিণ দমদমের কাউন্সিলাররাও
    বর্তমান | ২৬ আগস্ট ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, বরানগর: শহরের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে পুরসভার উদ্যোগে কয়েক কোটি টাকা খরচ করে সিসি ক্যামেরা বসানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল দক্ষিণ দমদমে। পাঁচ মাস আগে শুরু হওয়া সেই কাজ এখনও শেষ হয়নি। এখনও প্রায় ১৭টি ওয়ার্ডে ক্যামেরা বসানোর কাজ বাকি। প্রতিটি ওয়ার্ডে ১০টি করে সিসিটিভি বসাতে কেন এত সময় লাগছে? এ নিয়ে বিভিন্ন মহলে উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন। পুরসভার সিআইসি বৈঠক ও বোর্ড মিটিংয়েও এ নিয়ে কাউন্সিলাররা প্রশ্ন তুলেছেন। আগামী এক মাসের মধ্যে সমস্ত কাজ শেষ করার দাবি উঠেছে। পুরসভার তরফে পুজোর আগে কাজ সম্পন্ন করার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে বলে শোনা যাচ্ছে।

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দক্ষিণ দমদম পুরসভার উদ্যোগে শহরজুড়ে সিসিটিভির নিরাপত্তা বেষ্টনী তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল অনেক আগেই। ২০২২ সালে নতুন পুরবোর্ড আসার আগে শহরের ৩৫টি ওয়ার্ডে ৯২৩টি সিসিটিভি বসানো হয়েছিল। লেকটাউন, দমদম ও নাগেরবাজার থানায় সিসিটিভির সার্ভার রুম। পুরসভাতেও পৃথক সার্ভার রয়েছে। সিসিটিভি থাকায় শহরের যে কোনও প্রান্তের চুরি, দুষ্কৃতীমূলক কাজ ও সমাজবিরোধী গতিবিধি সহজেই জানতে পারা যায়। যদিও ওই সিসিটিভি নিয়ে বিস্তর অভিযোগ রয়েছে। বহু কাউন্সিলারের অভিযোগ, আগেকার এই সিসিটিভি রক্ষণাবেক্ষণের জন্য নির্দিষ্ট সংস্থা নিয়োগ করা হয়েছে। তা সত্ত্বেও অনেক সিসিটিভি খারাপ থাকে, কোনওটির সামনের অংশ প্ল্যাকার্ড ও ব্যানার দিয়ে ঢাকা থাকে। কোনওটার মুখ আবার উল্টো দিকে ঘুরে গিয়েছে। 

    চলতি বছর প্রায় দু’কোটি ৮০ লক্ষ টাকা খরচ করে শহরের ৩৫টি ওয়ার্ডের বিভিন্ন প্রান্তে ৩৫০টি সিসিটিভি বসানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল। গত মার্চ মাস থেকে সেই কাজও শুরু হয়েছিল। কিন্তু আগস্ট মাস শেষ হতে চললেও ওই কাজ শহরের মাত্র ১৮টি ওয়ার্ডে সম্পূর্ণ হয়েছে। কাউন্সিলারদের অভিযোগ, এই গতিতে কাজ হলে শেষ হতে ২০২৫ সাল হয়ে যাবে। পুরসভার জল দপ্তরের সিআইসি মৃন্ময় দাস বলেন, ‘আমাদের ওয়ার্ডে এখনও এই কাজ শুরু হয়নি। আর জি কর ঘটনার পর নিরাপত্তা নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে নানান প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। তাই দ্রুত কাজ শেষ করার প্রয়োজন। তা ছাড়া বেশি জনসংখ্যা রয়েছে এমন ওয়ার্ডে সিসিটিভির সংখ্যা আরও বাড়ানোর প্রয়োজন।’ বিদ্যুৎ দপ্তরের সিআইসি পার্থ ভার্মা বলেন, ‘ভোট সহ নানান কারণে দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থার কাজের গতি প্রথমে কম ছিল। স্থানীয় কাউন্সিলারদের সঙ্গেও সমন্বয়ে ঘাটতি ছিল। দ্রুত এই কাজ শেষ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আশা করছি পুজোর আগে এই কাজ সম্পন্ন হবে।’
  • Link to this news (বর্তমান)