• সুন্দরবনে জলদস্যুর হানা, লুট ১৫০ কেজি কাঁকড়া ও নৌকা
    বর্তমান | ২৬ আগস্ট ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: ব্ল্যাক বিয়ার্ড, বারবারোসা ব্রাদার্স বা ক্যারিবিয়ান পাইরেটসের সেই বিখ্যাত ক্যাপ্টেন নন। নেহাতই দেশীয় জলদস্যু। কিন্তু দুর্দান্ত-দুর্দম, ভয়ানক অত্যাচারীও। তাদের আক্রমণের খপ্পরে পড়ে সর্বস্ব ধন খোয়ালেন মৎসজীবীরা। 

    মধ্যযুগের সে উত্তাল সময় এখন নয়। সে ভয়ানক বিপদের সমুদ্রপথও নেই। তবুও জলদস্যু হামলা। গত বৃহস্পতিবার সুন্দরবন উপকূল থানার সজনেখালি রেঞ্জের গাজিখালিতে এই দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনাটি ঘটে। দু’টি নৌকায় করে ছ’জন মৎসজীবী নদীতে গিয়েছিলেন। কাঁকড়া-মাছ ধরে খানিক বিশ্রাম নিচ্ছিলেন নদীবক্ষে নৌকা নোঙর করে। আচমকা জলপথে হানা জলদস্যুদের। হা রে রে রে ডাক দিয়ে নয়। নিঃশব্দে হানা। তারপর সর্বস্ব লুট। বাধা দিতে গেলে বেধড়ক মারধর। দস্যুদের হাতে বন্দুক, ধারাল ছুরি। খুব একটা বাধাও দিতে পারেনি শক্তসমর্থ চেহারার মৎসজীবীরা। ভয়ে কাঁপতে কাঁপতে শুক্রবার মাঝরাত নাগাদ ফিরে আসেন বাড়ি। তারপর থানাপুলিস ইত্যাদি। আক্রান্তরা জানিয়েছেন, কয়েকদিন নদী চষে দেড়শ কিলোর মতো কাঁকড়া ধরেছিলেন। তার পুরোটাই লুট করে নিয়ে গিয়েছে দস্যুরা। কাঁকড়ার বাজারদর নয় নয় করে ৭৫ হাজার টাকা। 

    শনিবার থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এই ঘটনার পর বাকি মৎস্যজীবীরা বেজায় আতঙ্কে। নদীতে মাছ ধরছেন যাঁরা, তাঁরা আরও আতঙ্কিত। অনেকে ফিরেও আসতে শুরু করেছেন। সুন্দরবন মৎস্যজীবী রক্ষা কমিটির সভাপতি প্রশান্ত রায় বলেন, ‘এই ঘটনার পর  থানা ও বন বিভাগের কাছে নদীতে আরও বেশি টহলদারির আবেদন জানানো হয়েছে।’ 

    লুটপাটের পর মৎসজীবীদের দু’টির মধ্যে একটি নৌকা নিয়ে পালিয়েছিল দস্যুরা। ফলে প্রায় সর্বস্ব খুইয়ে মাথায় হাত দরিদ্র মৎসজীবীদের। - নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)