• রিপোর্টে ‘ধর্ষণ’ লিখতে হবে, অস্বীকার করায় মহিলা চিকিৎসককে শ্লীলতাহানি, ধৃত যুবক
    হিন্দুস্তান টাইমস | ২৬ আগস্ট ২০২৪
  • আরজি কর হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় তোলপাড় গোটা দেশ। বিচার এবং নিরাপত্তার দাবিতে আন্দোলনে নেমেছেন চিকিৎসকরা। সেই আবহেই একটি স্বাস্থ্য কেন্দ্রে এক মহিলা চিকিৎসককে শ্লীলতাহানি এবং গুরুতর হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠল এক যুবকের বিরুদ্ধে। চিকিৎসককে দিয়ে প্রেসক্রিপশনে জোর করে ধর্ষণ লেখানোর চেষ্টা করল ওই যুবক। আর তা না করায় চিকিৎসকের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা হয়েছে বলে অভিযোগে। এই ঘটনায় অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঘটনাটি পূর্ব বর্ধমানের কালনার।

    জানা গিয়েছে, ধৃত যুবকের নাম নারায়ণ দাস। বাবা মাকে মারধরের অভিযোগে ঘটনার দুদিন আগেই তাকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। এরপর জামিল পেয়ে বাবার বিরুদ্ধে নিজের স্ত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ আনার চেষ্টা করে ওই যুবক। সেই উদ্দেশ্যে ওই মহিলা চিকিৎসককে দিয়ে জোর করে মিথ্যা ধর্ষণের রিপোর্ট লিখে দেওয়ার জন্য চাপ দেয়। চিকিৎসক তা না করায় তাঁর শ্লীলতাহানির পাশপাশি হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় পূর্বস্থলী থানায় যুবকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন মহিলা চিকিৎসক। তার ভিত্তিতে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

    জানা গিয়েছে, ঋষি গ্রামের বাসিন্দা ওই যুবক গত শুক্রবার স্ত্রীকে নিয়ে পূর্বস্থলী ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের জরুরী বিভাগে গিয়েছিল। সেখানে যুবক দাবি করে, তার স্ত্রীকে মারধর করার পাশাপাশি ধর্ষণ করেছে তার বাবা। তখনই প্রেসক্রিপশনে মিথ্যা ধর্ষণের কথা লেখার জন্য যুবক চিকিৎসকের উপর চাপ সৃষ্টি করে। কিন্তু, মনমতো প্রেসক্রিপশন না পাওয়ায় এমন কাণ্ড করে বসে ওই যুবক। তাকে আদালতে তোলা হলে জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।।

    পুলিশ সূত্রে জানা যাচ্ছে, সম্পত্তি নিয়ে বাবার সঙ্গে বিবাদ চলছিল নারায়ণের। সে বাবাকে দিয়ে সব সম্পত্তি জোর করে নিজের নামে লিখিয়ে নিতে চাইছিল। কিন্তু, তাতে রাজি ছিলেন না তার বাবা-মা। এর জন্য সে বৃদ্ধ বাবা রামসুন্দর দাস এবং মাকে মারধর করে। সেই ঘটনায় ছেলের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন রামসুন্দর। পরে তাকে গ্রেফতার করে পূর্বস্থলী থানার পুলিশ। সেই ঘটনায় বৃহস্পতিবার কালনা আদালতে তোলা হলে তাকে জামিন দেন বিচারক। কিন্তু, তারপরও ক্ষান্ত হয়নি সে। জামিন পাওয়ার পরে বাবার বিরুদ্ধে মিথ্যা ধর্ষণের অভিযোগ আনার চেষ্টা করে।

    পুলিশে যাতে বাবার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা যায় তার জন্যই এই পরিকল্পনা করেছিল যুবক। তবে সেই উদ্দেশ্য সফল হয়নি।যদিও যুবকের দাবি, তার বাবা-মা ও পরিবারের লোকজন মিলে তার স্ত্রীকে মারধর করেছিল। হাসপাতালে আনার পর ওই চিকিৎসক ওষুধ লিখে দিয়েছিলেন। এরকম কিছুই ঘটেনি।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)