• প্রতিবাদে পুজোর অনুদান গ্রহণে না, কাটছাঁট আয়োজনে
    আনন্দবাজার | ২৬ আগস্ট ২০২৪
  • ইতিমধ্যেই আর জি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে দুর্গাপুজোর সরকারি অনুদান না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্যের কিছু পুজো কমিটি। সেই তালিকায় যুক্ত হল দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগরের ৭ ও ১৪-র পল্লি সর্বজনীনও। সম্প্রতি পুজো কমিটির তরফে সমাজমাধ্যমে এই সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়েছে। এ জন্য তারা আয়োজনেও কাটছাঁট করছে।

    পুজো কমিটির সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য বাপিন বৈদ্য বলেন, “আর জি কর কাণ্ডের পরিপ্রক্ষিতে আমরা এলাকার বাসিন্দাদের কাছে হোয়াটসঅ্যাপে এবং সরাসরি বৈঠকে এ ব্যাপারে মতামত চেয়েছিলাম। সেখানে সকলেই অনুদান না নেওয়ার পক্ষে মত দিয়েছেন। সেই মতো আমরা অনুদান না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”

    জয়নগর-মজিলপুর পুরসভার ৭ ও ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের পরিচালনায় স্থানীয় একটি ক্লাবের মাঠে এই পুজো হয়। পুজোর বয়স প্রায় ৪০ বছর। এই পুজো এলাকার বড় এবং পুরনো পুজোগুলির অন্যতম।

    বাপিন মানছেন, অনুদানের ৮৫ হাজার টাকা তাঁদের মতো পুজো কমিটির কাছে বড় ব্যাপার। তিনি জানান, কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে পুজোর সঙ্গে যুক্ত কেউ-ই চাইছেন না অনুদান নিতে। এলাকার অন্য পুজো কমিটিগুলির কাছেও তাঁরা আবেদন করেছেন, সরকারি অনুদান প্রত্যাখ্যান করার জন্য। তবে, এলাকার আর কোনও পুজো কমিটির তরফে অবশ্য এখনও পর্যন্ত অনুদান না নেওয়ার কোনও সিদ্ধান্ত জানানো হয়নি।

    ওই পুজো কমিটি সূত্রের খবর, তাদের বাজেট প্রায় পাঁচ লক্ষ টাকা। গত কয়েক বছর অনুদান নিয়েই পুজো হয়েছে। এ বার অনুদান ছাড়া পুজো করার জন্য আয়োজনে কাটছাঁট করা হচ্ছে। পুজোর উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য তথা জয়নগর-মজিলপুরের প্রাক্তন উপ-পুরপ্রধান এসইউসি নেতা প্রবীর বৈদ্য বলেন, “আমরা চল্লিশ বছর ধরে পুজো করছি। শেষ কয়েক বছর বাদে এত দিন অনুদান ছাড়াই পুজো হয়েছে। এ বারও অনুদান ছাড়াই পুজো হবে।”

    জয়নগর-মজিলপুরের পুরপ্রধান সুকুমার হালদার এই প্রসঙ্গে বলেন, “অনুদান না নেওয়া ওদের সিদ্ধান্ত। তবে যতদূর জানি, এ ব্যাপারে প্রশাসনের কাছে সরকারি ভাবে কিছু জানানো হয়নি।”
  • Link to this news (আনন্দবাজার)