ধর্মতলার মোড়ে প্রতিবাদীদের হাতের লাল পতাকায় প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার, কল্পনা দত্তের ছবি। একটি পতাকায় জ্বলজ্বল করছেন রোকেয়া। রবিবার বিকেলে এ ভাবেই পথে নেমেছিলেন স্বাধীনতার ঐতিহাসিক মধ্যরাতে ‘রাত দখলের’ ডাক দেওয়া মেয়েরা। নানা বয়সের মেয়ে এবং রূপান্তরকামীদের পুরোভাগে রেখে এই মিছিল পার্ক সার্কাসের রামলীলা ময়দান থেকে ধর্মতলা মোড় পর্যন্ত হেঁটে যায়।
প্রতিবাদীদের মধ্যে স্কুলশিক্ষিকা, সমাজকর্মী শতাব্দী দাশ বলছিলেন, “আমরা কিন্তু এই প্রতিবাদে এক নিঃশ্বাসে কামদুনি, কাটোয়া থেকে হাথরস, উন্নাও বা কাঠুয়ার বিরুদ্ধে কথা বলতেই পথে নেমেছি। কিছু রাজনৈতিক দল এই আন্দোলনের ফায়দা তোলার চেষ্টা করছে, ধর্ষণের সুবিচার দিতে যাদের ভূমিকা ঠিক নয়।” এ দিনের মিছিলের দাবি হিসেবে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে প্রধানত সরকারি হাসপাতালে দুর্নীতির সিন্ডিকেট ভাঙা, কাজের জায়গা ও জনপরিসরে নারী ও রূপান্তরকামীদের নিরাপত্তার আর্জি জানানো হয়। সর্বত্র পিতৃতন্ত্রের স্বর তথা ধর্ষণমনস্ক প্রবণতার বিপদ নিয়ে সজাগ করেন প্রতিবাদীরা।
১৪ অগস্ট রাত দখলের ডাক শুনে হাওড়ায়, হুগলিতে বা দুই ২৪ পরগনায় যে প্রতিবাদী মেয়েরা শহরে এসেছিলেন তাঁরাও এ দিন কলকাতায় আসেন। রিমঝিম সিংহ বলে তরুণী গবেষকের পোস্ট থেকেই আন্দোলনের ডাক ছড়াতে শুরু করে। তিনিও মিছিলে ধর্মতলায় গিয়ে নারী অধিকারের বেগুনি পতাকা তোলেন। শহরের মেয়েদের সঙ্গে মিশে যায় ভাঙড়ের নিলুফার বা ক্যানিংয়ের ঊর্মিমালাদের প্রতিবাদ। মেটিয়াবুরুজ, খিদিরপুর, যাদবপুরের মেয়েদের সঙ্গে মিলে যান বৈদ্যবাটী, চন্দননগর বা হাওড়ার মেয়েরাও।