এই সময়: 'পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ'-এর ডাকা আগামী মঙ্গলবারের নবান্ন অভিযান ঘিরে পরিকল্পিত ভাবে অশান্তি তৈরির ছক হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলল তৃণমূল। রবিবার সাংবাদিক বৈঠক করে জোড়াফুলের রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদ কুণাল ঘোষ অভিযোগ করেন, ওই দিন পুলিশের পোশাক পরে বিশৃঙ্খলা তৈরির ছক চলছে।আবার গত শুক্রবার 'পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ'-এর তরফ থেকে এই নবান্ন অভিযানের বিষয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেছিলেন যে তিনজন, তাঁদের মধ্যে শুভঙ্কর হালদারের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও অপহরণের মতো গুরুতর অভিযোগ আছে বলে অভিযোগ তুলেছেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য।
রবিবার সোশ্যাল মিডিয়ায় তৃণাঙ্কুর লেখেন, 'শুভঙ্কর হালদার ২০০৮ সাল থেকে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সঙ্গে জড়িত। ২০১৪ সালে একটি ধর্ষণ ও অপহরণের মামলায় জড়িয়ে যাওয়ায় তাঁকে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সমস্ত পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়। পরবর্তী সময়ে মুকুল রায়ের হাত ধরে বিজেপিতে যোগদান করেন। আরও পরে এবিভিপি-র নবদ্বীপ শাখার সভাপতি পদে নিযুক্ত হন।'
যদিও এই অভিযোগ উড়িয়ে শুভঙ্কর বলেন, 'তৃণাঙ্কুর কে, আমি সেটাই জানি না। উনি কি আমাকে ওঁর দলে টানতে চাইছেন? উনি যা বলছেন, সব ভিত্তিহীন। এই তৃণমুলের বিরুদ্ধে লড়তে গিয়ে আমাকে অনেক কেস খেতে হয়েছে। সারা পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে আমার নামে কেস আছে। কিন্তু উনি কি দেখাতে পারবেন যে, আমার বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা আছে?'
এই সংগঠনের তরফ থেকে আগেই বলা হয়েছে, ২৭ অগস্টের নবান্ন অভিযান ডাকা হয়েছে সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক ভাবে। যদিও কুণাল রবিবার অভিযোগ করেছেন, ওই দিন পুলিশের পোশাক পরে কলকাতায় অপকীর্তি চালাতে পারে বিজেপির মদতপুষ্ট দুষ্কৃতীরা। ওই দিন ইউজিসি-নেট রয়েছে। সেজন্য অনেক পরীক্ষার্থীকে পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছতে হবে নির্দিষ্ট সময়ে। নবান্ন অভিযানের জেরে যাতে পরীক্ষার্থীদের কোনও সমস্যায় পড়তে না হয়, তার জন্য রাস্তায় পর্যাপ্ত পুলিশ থাকবে বলে শনিবার জানিয়েছে পুলিশ।
নেট পরীক্ষার্থীদের উদ্দেশে পুলিশের বার্তা, 'কোনও রকম অসুবিধায় পড়লে অনুরোধ, নিকটবর্তী পুলিশকর্মীর সাহায্য নিন অথবা নিকটবর্তী থানায় যোগাযোগ করুন।' রবিবার কুণাল বলেন, '২৭ তারিখ গন্ডগোল করার জন্য প্রচুর পুলিশের পোশাক তৈরি করা হয়েছে। ওই দিন পুলিশের পোশাক পরে গুন্ডারা অপকীর্তি করবে। যাতে পুলিশকে ভুল ভাবে প্রজেক্ট করা যায়।'
রাজ্যসভার বিজেপি সাংসদ শমীক ভট্টাচার্যের পাল্টা কটাক্ষ, 'নির্ভরযোগ্য সূত্রে আমরাও একটা খবর পেয়েছি, সেটা হলো, স্কটল্যান্ড ইয়ার্ড আর এফবিআই-এর মধ্যে জোর দ্বন্দ্ব শুরু হয়েছে। দু'টো সংস্থাই কুণাল ঘোষকে বিশেষ উপদেষ্টা হিসেবে চাইছে!'