• ন্যানোর জমিতে চাষ হয় না, সিঙ্গুরে শুরু হচ্ছে নতুন এক জমি আন্দোলন
    ২৪ ঘন্টা | ২৬ আগস্ট ২০২৪
  • বিধান সরকার: সিঙ্গুরে আবার তৈরি হচ্ছে কৃষকদের কমিটি! "বন্ধ্যা জমি পুনর্ব্যবহার কমিটি" নামে একটি কমিটি তৈরী করে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন কৃষকদের, জমি চাষযোগ্য করে দেওয়া হোক নয়তো শিল্প হোক। টাটাদের ন্যানো গাড়ির কারখানা করার জন্য ২০০৬ সালে সিঙ্গুরে এক হাজার একর জমি অধিগ্রহণ করেছিল তৎকালীন বাম সরকার। অনিচ্ছুক কৃষকরা তাদের জমি জোর করে কেড়ে নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ তুলে আন্দোলন শুরু করেছিলেন। গড়ে উঠেছিল সিঙ্গুর কৃষি জমি রক্ষা কমিটি। সেই কৃষি জমি রক্ষা কমিটির অন্যতম মুখ ছিলেন তৃণমূল নেতা দুধকুমার ধারা। দুধকুমার বেড়াবেরি গ্রাম পঞ্চায়েতে প্রধান, সিঙ্গুর পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষর পদ সামলেছেন। গত পঞ্চায়েতে তাকে টিকিট দেয়নি দল।

    সেই দুধকুমার ধারা কৃষকদের নিয়ে সিঙ্গুরে আবার নতুন করে আন্দোলন শুরু করছেন। দাবি বন্ধ্যা জমিকে চাষযোগ্য করে দিতে হবে। আর চাষ না হলে সেখানে শিল্প করতে হবে।

    ইতিমধ্যেই কৃষকদের জন্য ফর্ম বিলি শুরু হয়েছে যা মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হবে।

    আগামী ত্রিশ আগস্ট থেকে সিঙ্গুরে অবস্থান শুরু করবে সিঙ্গুর বন্ধ্যা জমি পুনরুদ্ধার কমিটি। দুধকুমার বলেন, আট বছর পেরিয়ে গিয়েছে। সিঙ্গুরে সাড়ে ৬০০-৭০০ একর জমি বন্ধ হয়ে পড়ে রয়েছে। ২০১৬ সালে সুপ্রিম কোর্ট যে রায় দিয়েছিল তাতে বলেছিল জমি চাষযোগ্য করে ফেরত দিতে হবে। চাষযোগ্য হয়নি। জমির সীমানা নির্ধারণ হয়নি। চাষের জন্য কিছু মিনি ডিপ টিউবওয়েল বসানো হয়েছিল। তার বিল আসছে অত্যধিক। সেগুলোকে সোলার সিস্টেমে আনতে হবে। জমি অধিগ্রহণের আগে কৃষকদের যে অধিকার ছিল সেই অধিকার ফিরিয়ে দিতে হবে। নিকাশি ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে গিয়েছে, সেটাকে চালু করতে হবে। হাজার চেষ্টার পরও যদি চাষযোগ্য না করা যায় জমি তাহলে সেখানে সরকারি বা বেসরকারী উদ্যোগে শিল্প করা হলে আমরা কৃষকরা সহযোগিতা করব।

    মুখ্যমন্ত্রী হয়তো সবটা জানেন না কারণ স্থানীয় প্রশাসন তাকে জানায়নি। বিএলআরও অফিসে কৃষকরা গিয়েছিল কিন্তু তাদের পাত্তা দেওয়া হয়নি। তাই আমরা একটা সময় যারা আন্দোলন করেছিলাম সে অনিচ্ছুক কৃষক এবং ইচ্ছুক কৃষকরা দল মত নির্বিশেষে এই কমিটি তৈরি করেছে। আমরা আমাদের আবেদনটাকে সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পৌঁছে দিতে চাইছি।

    এ প্রসঙ্গে সিঙ্গুরের বিধায়ক মন্ত্রী বেচারাম মান্না বলেন,আন্দোলন করা মানুষের অধিকার। যে কেউ আন্দোলন করতে পারে। কিন্তু যেই শুনি আন্দোলন তার কোন যৌক্তিকতা নেই। সিঙ্গুরের জমির প্রায় ৯১ শতাংশ চাষযোগ্য হয়ে আছে। যারা চাষ করার তারা চাষ করছেন। রাস্তার পাশে যারা পেট্রোল পাম্প করার জন্য কিনেছিল তারা চাষী নয় তারা চাষ করছে না। আজকে যারা আন্দোলনের কথা বলছে তারাই দালালি করে ওই জমিগুলো কিনে দিয়েছিল। যারা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে আন্দোলন করেছিল তারা এই আন্দোলনে নেই।

  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)