• দেহ উদ্ধারের পর সেমিনার হলে সন্দীপ ‘ঘনিষ্ঠ’ বহু লোক! ভাইরাল ভিডিও ঘিরে প্রশ্ন
    প্রতিদিন | ২৬ আগস্ট ২০২৪
  • ক্ষীরোদ ভট্টাচার্য: আর জি কর হাসপাতালের অপরাধস্থলের চরিত্র বদলে দেওয়া হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টে এমনই দাবি করেছিলেন সিবিআইয়ের তরফে আইনজীবী সলিসিটার জেনারেল তুষার মেহতা। প্রশ্ন উঠেছিল, অনেকটা দেরিতে অপরাধস্থল সিল করা নিয়েও। এমন পরিস্থিতিতে প্রকাশ্যে সেমিনার হলের ৯ আগস্ট সকালের এক ভিডিও ফুটেজ। যেখানে দেখা যাচ্ছে, তরুণী চিকিৎসকের দেহ উদ্ধারের পর অন্তত ৩০ জন সেমিনার হলে ঢুকেছেন। সেখানে আর জি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের আপ্ত সহায়ক থেকে তাঁর ঘনিষ্ঠ আইনজীবীও উপস্থিত ছিলেন। যা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। যদিও ভিডিওটির সত্যতা যাচাই করেনি সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক।

    ৮ আগস্ট রাতে আর জি কর হাসপাতালের তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুন করা হয়। ৯ আগস্ট সকালে সেমিনার হলে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। নিয়ম বলছে, সঙ্গে সঙ্গেই অপরাধস্থল সিল করার কথা। কিন্তু সেই কাজ করা হয় রাত ১১টা নাগাদ। এর মধ্যেই সেই সেমিনার হলে প্রচুর লোক যাতায়াত করেন। পুলিশের সামনেই পুরো বিষয়টি ঘটে। তারা কার্যত ঠুঁটো জগন্নাথ হয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন।

    ৪৩ সেকেন্ডের ভিডিও-তে দেখা গিয়েছে, সেমিনার হলে একসঙ্গে ৩০ জন ঢোকা বেরনো করে। তার মধ্যে ছিলেন প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের আপ্তসহায়ক প্রসূন চট্টোপাধ্যায়। ছিলেন ফরেন্সিক বিভাগের কর্তা দেবাশিস সোম-সহ হাসপাতালের বহু পদস্থ কর্তা। উল্লেখ্য, এই দেবাশিস এখন সিবিআই তদন্তের স্ক্যানারে। ভিড়ে ছিলেন শান্তনু দে নামক এক আইনজীবীও। যিনি আবার সন্দীপ ঘনিষ্ঠ হিসেবেই পরিচিত। এধরনের নৃশংস অপরাধের পর কীভাবে অপরাধস্থলে এতো মানুষজনকে ঢুকতে দেওয়া হল? কেন ঘটনাস্থল সিল করল না পুলিশ? তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।
  • Link to this news (প্রতিদিন)