• ‘RG করে তরুণীর দেহের কাছে ৩ সন্দীপ-ঘনিষ্ঠ’, প্রমাণ গায়েবের ছক? সামনে নয়া ভিডিয়ো
    হিন্দুস্তান টাইমস | ২৬ আগস্ট ২০২৪
  • ‘প্লেস অফ অরকান্স’-এ এত লোকজন কী করছিলেন? আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের ঘনিষ্ঠরা কেন সেখানে গিয়েছিলেন? আরজি কর কাণ্ডের মধ্যে একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়ে যাওয়ার পরে এমনই সব প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। যে ভিডিয়োটি ভাইরাল হয়েছে, তা আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের সেমিনার রুমের বলে দাবি করা হয়েছে। যেখান থেকে তরুণী চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে যে ওই জমায়েতের ভিডিয়ো যখন তোলা হয়েছে, তখন সেমিনার রুমের মধ্যে তরুণী চিকিৎসকের দেহ ছিল। আর বাইরে তাঁর বাবা-মা অপেক্ষা করছিলেন। যদিও ওই ভাইরাল ভিডিয়োর প্রেক্ষিতে সিবিআই বা কলকাতা পুলিশের তরফে কোনও মন্তব্য করা হয়নি।

    ওই ভিডিয়োটি ভাইরাল হওয়ার পরে শান্তনু দে, দেবাশিস সোম এবং প্রসূন চট্টোপাধ্যায়ের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের ফরেন্সিক বিভাগের ডেমনস্ট্রেটর পদে আছেন দেবাশিস। যিনি সন্দীপের অত্যন্ত 'ঘনিষ্ঠ' হিসেবে পরিচিত। কলকাতা হাইকোর্টে সন্দীপের আর্থিক অনিয়মের যে অভিযোগ করা হয়েছে, তাতে দেবাশিসের নাম আছে।

    অন্যদিকে পেশায় আইনজীবী শান্তনুও সন্দীপের 'কাছের লোক' হিসেবে পরিচিত। সন্দীপের ছায়াসঙ্গী ছিলেন বলে একটি মহলের তরফে দাবি করা হয়েছে। আর ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের ডেট্রা এন্ট্রি অপারেটার হিসেবে কর্মরত আছেন প্রসূন। তিনিও সন্দীপের ‘কাছের লোক’ বলে দাবি করা হয়েছে।

    অভিযোগ উঠেছে যে শান্তনু এবং প্রসূনের সঙ্গে আরজি কর হাসপাতালের কোনও যোগ ছিল না। তারপরও তাঁরা ‘ক্রাইম সিন’-এ ঘুরে বেড়িয়েছিলেন। তবে শুধু তাঁরা নন, সেদিন আরও অনেক বহিরাগত ‘ক্রাইম সিন’-এ ঘুরে বেড়িয়েছিলেন বলে ভাইরাল ভিডিয়ো দেখিয়ে অভিযোগ করা হয়েছে। আর তার জেরেই প্রশ্ন উঠেছে যে কীভাবে ‘ক্রাইম সিন’-এ এত লোক চলে এলেন? তাতে তো প্রমাণ নষ্ট হয়ে যেতে পারে?

    ওই ভাইরাল ভিডিয়োর প্রেক্ষিতে বিজেপি নেতা তরুণজ্যোতি তিওয়ারি প্রশ্ন তোলেন, ‘দেবাশিস সোম - ফরেন্সিক মেডিসিনের অধ্যাপক। প্রসূন চট্টোপাধ্যায়, শান্তনু দে সহ একাধিক লোকজন সেমিনার রুমে কি করছিলেন? ফরেন্সিক তথ্য লোপাটের চেষ্টা? ঘটনাস্থলে অর্থাৎ ক্রাইম সিনে কারও যাওয়ার কথা নয়। কিন্তু ওঁরা গেলেন কীভাবে? পুলিশ আটকাল না কেন?’

    যদিও সেই জমায়েতে কোনও ভুল দেখছেন না তৃণমূল কংগ্রেস নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার। তাঁর বক্তব্য, পাড়ায় কেউ মারা গেলেও আশপাশের লোকজন চলে আসেন। এটা মানুষের একেবারে স্বাভাবিক প্রবৃত্তি বলে দাবি করেন তিনি।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)