• মমতা-অভিষেকের পোস্ট শেয়ার করছেন না তৃণমূলের অনেক নেতা, ক্ষোভ প্রকাশ কুণালের
    হিন্দুস্তান টাইমস | ২৬ আগস্ট ২০২৪
  • আরজি কর কাণ্ড নিয়ে এখনও উত্তাল রয়েছে বাংলা। প্রতিদিনই বিক্ষোভ, মিছিল, আন্দোলন হচ্ছে আরজি করের প্রতিবাদে। আগামীকাল রয়েছে নবান্ন অভিযান।বর্তমানে এই ঘটনার তদন্ত করছে সিবিআই। সুপ্রিম কোর্টে চলছে মামলা। তবে আন্দোলনকারীরা রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। শুধু পথে নেমে আন্দোলনই নয়, সোশ্যাল মিডিয়াতেও রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ব্যাপকভাবে সরব হতে দেখা যাচ্ছে নেটিজেনদের। সরকারের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপ্রচার চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল। এই সমস্ত অপপ্রচার প্রতিহত করতে পাল্টা পোস্ট করছেন তৃণমূলের কর্মী সমর্থকরা। তবে দলের অনেক নেতাই নিষ্ক্রিয় রয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এমনকী, দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও দলের সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পোস্টও অনেকই শেয়ার করছেন না। এনিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ।

    রবিবার রাজারহাটে তৃণমূলের তরফে এক কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। তাতে উপস্থিত ছিলেন পরিবহণ মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী, কলকাতা পুরসভার ৯৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অরূপ চক্রবর্তী, তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ এবং মুখপাত্র ঋজু দত্ত। সেখানেই সোশ্যাল মাধ্যমে নেতাদের একাংশের নিষ্ক্রিয় থাকা নিয়ে অভিযোগ তোলেন কর্মীদের একাংশ। তার প্রতিক্রিয়ায় তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ বলেন, ‘আরজি করের ঘটনায় সবাই নিন্দা করছি। দোষীদের ফাঁসি চাইছি। তবে এটাকে কেন্দ্র করে সিপিএম, বিজেপি বা অন্যান্য অপশক্তিগুলি কুৎসা, মিথ্যা প্রচার চালাচ্ছে। তৃণমূল কংগ্রেসকে আক্রমণ, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ চালাচ্ছে। তার বিরুদ্ধে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পোস্ট কয়েকজন নেতা শেয়ার করছেন। তবে এখানকার কর্মীদের অভিযোগ, অনেক গুরুত্বপূর্ণ নেতা সেই সব পোস্ট শেয়ার করছেন না বা অপপ্রচার প্রতিহত করার জন্য পালটা পোস্ট করছেন না।’ 

    কর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি জানান, কর্মীদের আবেগ সঠিক। কমিটি গঠন, পদ নেওয়া বা জনপ্রতিনিধি হওয়ার সময় যাঁরা লাইন দিয়ে লবি করেন, তাঁরাও অনেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পোস্ট শেয়ার করছেন না। দলের হয়ে লেখা তো দূরের কথা কিছুই করছেন না দলের হয়ে। কুণাল বলেন, ‘আরজি করের ঘটনায় তদন্ত করছে সিবিআই, সেটি কেন্দ্রীয় সংস্থা। আবার মামলা চলছে সুপ্রিম কোর্টে। সেটিও দিল্লিতে। রাজ্যের হাতে এখন নেই। তারপরও মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করা হচ্ছে, নবান্ন চলোর ডাক দেওয়া হচ্ছে। এনিয়ে তৃণমূলের সব স্তরের কর্মীরা যতটা পারছেন লড়ে যাচ্ছেন। ডিজিটাল স্তরে বিশেষ করে সমাজ মাধ্যমে তারা ব্যাপকভাবে লড়ছেন। কিন্তু, অনেক বহু নেতা রয়েছেন তারা ব্লক স্তর পর্যন্ত কমিটি গঠনের সময় নাম লেখানোর জন্য ছটফট করেন, নির্বাচনে টিকিট পাওয়ার জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে থাকেন তারাই চুপ হয়ে রয়েছেন।’

    বিরোধীদের নিশানা করে কুণাল বলেন, ‘বিজেপি-সিপিএম অপচেষ্টা করছে। আমাদের কথা হল- তোমরা যদি বল জাস্টিস ফর আরজিকর, তাহলে আমাদের কথা হবে - তোমার আমার একই স্বর । কিন্তু, যদি বল- রিজাইন মমতা, তাহলে আমরা বলব- ময়দানে বুঝে নেবে জনতা।’
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)