আরজি কর হাসপাতালে কর্তব্যরত এক তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ-খুনের প্রতিবাদে উত্তাল গোটা রাজ্য। প্রতিবাদের ঢেউ ছড়িয়েছে রাজ্য, দেশের বাইরেও। সর্বত্রই আন্দোলনকারীদের মুখে মুখে ফিরছে একটাই স্লোগান—‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’। সেই জনপ্রিয় স্লোগানকে হাতিয়ার করে পুজোর আগে বাজার ধরতে নেমে পড়েছে বিভিন্ন পোশাক প্রস্তুতকারক সংস্থা।বাজারে এখন দেদার বিকোচ্ছে ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ লেখা টি-শার্ট। কোনও কোনও টি-শার্টে আবার লেখা থাকছে ‘জাস্টিস ফর আরজি কর’। দোকান ছাড়াও অনলাইনেও পাওয়া যাচ্ছে এই ধরনের টি-শার্ট। উই ওয়ান্ট জাস্টিস লোগো সম্বলিত গাড়ির স্টিকার এবং রিস্ট ব্যানও বিক্রি হচ্ছে বাজারে।
গার্মেন্টস ব্যবসায়ীরা জানাচ্ছেন, উই ওয়ান্ট জাস্টিস লেখা টি-শার্টের চাহিদা আচমকা বেড়ে যাওয়ায় নতুন করে অর্ডার দিতে হচ্ছে। তবে এই চাহিদা কতদিন থাকবে তা নিয়ে সন্দিহান তাঁরা। তাঁদের অনেকের ধারণা, আরজি কর ইস্যু থিতিয়ে গেলে এই টি-শার্ট আর কেউ কিনতে চাইবেন না। ধর্মতলার বিধান মার্কেটে স্পোর্টস গার্মেন্টসের যে-সব দোকান রয়েছে, সেখানে সারা বছর নানা ধরনের ক্রীড়াসরঞ্জাম এবং জার্সি বিক্রি হয়।
সেখানেও এখন জার্সির পাশে উই ওয়ান্ট জাস্টিস লেখা টি-শার্ট ঝুলছে। ব্যবসায়ী মহম্মদ চাঁদের কথায়, ‘এই সময়টায় কোনও বড় টুর্নামেন্ট থাকে না বলে জার্সি খুব একটা বিক্রি হয় না। আরজি করের ঘটনার পর কিছু টি-শার্ট বিক্রি হচ্ছে। অর্ডার দিলে আমরা সঙ্গে সঙ্গে বানিয়ে দিচ্ছি।’
বড়বাজারের এক গার্মেন্টস প্রস্তুতকারক সংস্থার কর্ণধার কমলেশ সিং বলেন, ‘এখন পুজোর সিজন এসে যাওয়ায় বাজারে চাহিদা থাকলেও ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ লেখা টি-শার্ট বেশি বানানো যাচ্ছে না। যখন যেমন অর্ডার আসছে সেই মতো আমরা সাপ্লাই দেওয়ার চেষ্টা করছি।’
একটি নামকরা অনলাইন বিপণি সংস্থার এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, অনলাইনে পুজোর কেনাকাটা অনেক আগে থেকেই শুরু হয়ে যায়। তার মধ্যেই আরজি কর ইস্যু এসে যাওয়ায় অনেকে উই ওয়ান্ট জাস্টিস লেখা টি-শার্ট কেনার জন্যে সার্চ করছেন। তাই স্পেশাল অর্ডার দিয়ে এই ধরনের টি-শার্ট বানানো হয়েছে। এখন ভালোই বিক্রি হচ্ছে।
ভালো কোয়ালিটির কটন টি-শার্ট ৭০০-৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘যে হারে লোকে উই ওয়ান্ট জাস্টিস লেখা টি-শার্ট কিনছেন, তাতে মনে হচ্ছে যেন এ বার এটাই পুজোর ফ্যাশন হয়ে দাঁড়াবে।’