‘নবান্ন অভিযান’কে কেন্দ্র করে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা বলয় তৈরি করছে প্রশাসন। কলকাতা ও হাওড়া পুলিশ কমিশনারেটের ডিসি মর্যাদার একাধিক পুলিশ আধিকারিক, কমব্যাট ফোর্স, র্যাফ, জল কামান-সহ বিশাল পুলিশ বাহিনী প্রস্তুত থাকছে। কোনওরকম অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে কোমর বেঁধে নামছে পুলিশ প্রশাসন।মঙ্গলবার নবান্ন অভিযানের পরিপ্রেক্ষিতে কলকাতায় কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হয়েছে লালবাজারের তরফে। কলকাতা পুলিশের ৬ হাজারেরও বেশি পুলিশ মোতায়েন করা হবে। নেতৃত্বে থাকবে ২৬ জন ডিসি পদমর্যাদার কর্মকর্তারা। যাঁদের সঙ্গে লালবাজারের অনেক উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তারাও উপস্থিত থাকবেন। এ ছাড়া পুলিশ ৮টি বিভিন্ন পয়েন্ট তৈরি করেছে, যেখানে বিশেষ পুলিশি ব্যবস্থা থাকবে। যে কোনও অপ্রীতিকর পরিস্থিতি মোকাবেলায় সকাল ৮টা থেকেই পুলিশ মোতায়েন শুরু হবে।
জানা গিয়েছে, শহরের ১৯টি জায়গায় ব্যারিকেড করা হয়েছে। নজরদারির জন্য ড্রোনও ব্যবহার করা হবে। ড্রোনের সাহায্যে মহানগরে নজরদারি রাখবে পুলিশ। নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করতে এসব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, সমাবেশের অনুমতি কোনও সংগঠন পাইনি। পুলিশের তরফে মেইল করে জানতে চাওয়া হয়েছিল, সমাবেশে কত লোক জমায়েত হবে? মিছিলটি কোন পথে যাবে? কিন্তু ‘পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ’ নামে ওই সংগঠনের কোনো সাড়া না পাওয়ায় পুলিশ তাদের মতে নিরাপত্তার ব্যবস্থা করবে।
কলকাতা ও হাওড়া থেকে মূলত যে তিনটে পথ দিয়ে নবান্নের দিকে আন্দোলনকারীরা আসবেন, সেই হাওড়া ময়দান, ফোরশোর রোড ও কোনা এক্সপ্রেসওয়েকে আঁটোসাঁটো নিরাপত্তা বলয় তৈরি করা হয়েছে। হাওড়া ব্রিজে ডিসি পদমর্যাদার ৩ জন, ফারলং গেট এলাকায় ডিসি পদমর্যাদার ৩ জন, হেস্টিংস ও এজেসি বোস রোড এলাকায় পদমর্যাদার ২ জন করে পুলিশ আধিকারিক থাকবেন। এঁদের সঙ্গে প্রতিটি জায়গায়তেই পর্যাপ্ত পুলিশ, টিয়ার গ্যাস পার্টি, র্যাফ উপস্থিত থাকবে। হাওড়া থেকে কোনা এক্সপ্রেসওয়ে হয়ে নবান্ন পর্যন্ত, এদিকে কলেজ স্কোয়ার, ইডেন গার্ডেন, হেস্টিংসের দিক থেকে মিছিল যাবে নবান্নের দিকে।