খুলে দেওয়া হল ফরাক্কার সব গেট! চিন্তায় মুর্শিদাবাদ, সমস্যায় বাংলাদেশের কয়েকটি জেলাও
আনন্দবাজার | ২৬ আগস্ট ২০২৪
বিহার এবং ঝাড়খণ্ডে ভারী এবং টানা বৃষ্টির কারণে ফরাক্কা ব্যারেজ থেকে আবার জল ছাড়া হল সোমবার। বন্যার আশঙ্কা মুর্শিদাবাদের একাধিক জায়গায়। ইতিমধ্যে বানভাসি বাংলাদেশ। প্রাণহানি এবং সম্পত্তির ক্ষতি হয়েছে প্রতিবেশী দেশে। ফরাক্কা থেকে জল ছাড়ার ফলে প্লাবিত হতে রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, পাবনা, সিরাজগঞ্জ, কুষ্ঠিয়া, মানিকগঞ্জ-সহ বেশ কয়েকটি জেলা। সূত্রের খবর, সোমবার ফারাক্কা বাঁধ দিয়ে সারা দিনে ১১ লক্ষ কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে। বাঁধ প্রকল্পের ম্যানেজিং ডিরেক্টরের ব্যাখ্যা, এই মুহূর্তে ‘আপ স্ট্রিম’-এর অতিরিক্ত জল ব্যারেজে আটকে রাখা সম্ভব নয়।
নিম্ন অববাহিকার তুলনায় উচ্চ অববাহিকায় বৃষ্টিপাতের মাত্রার উপর নির্ভর করে ফারাক্কা ব্যারেজ থেকে জল ছাড়ার পরিমাণ। নিম্নচাপের ফলে বিহার এবং ঝাড়খণ্ডে অত্যধিক বৃষ্টি হয়েছে। তার ফলে ফারাক্কা ব্যারেজে জলস্তর বৃদ্ধি পেয়েছে। এই কারণেই ব্যারেজের সমস্ত গেট খুলে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন কর্তৃপক্ষ। ইতিমধ্যেই জল ধারণের মাত্রা ৭৭.৩৪ পৌঁছেছে। যা বিপদসীমা অতিক্রম করেছে বলে খবর।
ব্যারেজ কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, এখন চাইলেও জল আটকে রাখা যাবে না। কারণ জল ধরে রাখার কোনও প্রযুক্তিগত ব্যবস্থা নেই ব্যারাজে। বরং জল ছাড়া না হলে ব্যারেজের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থাকছে।
সোমবার ফরাক্কা ব্যারেজের জেনারেল ডিরেক্টর জিডি দেশপাণ্ডে বলেন, ‘‘এখন তো ব্যারাজের সব গেট খোলা আছে।’’ যে পরিমাণ জল ‘ডাউনস্ট্রিমে’ যাচ্ছে, তাতে বাংলাদেশের দিকে জলপ্রবাহ বাড়তে পারে কি? দেশপাণ্ডের জবাব, ‘না।’ রবিবার ১১ লক্ষ ৩২ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে। জেনারেল ডিরেক্টর বলেন, ‘‘ওই পরিমাণ জল উচ্চ প্রবাহ থেকে ফারাক্কায় এসে পৌঁছেছিল। নির্দিষ্ট মাত্রা বাদ দিয়ে বাকি সব ‘ডাউন স্ট্রিমে’ ছাড়া হয়েছে। ওই জল ধরে রাখার কোনও ব্যবস্থা আমাদের কাছে নেই।’’
অন্য দিকে, ব্যারেজ থেকে জল ছাড়ার ফলে দুশ্চিন্তা বাড়ছে মুর্শিদাবাদের একাধিক এলাকায়। সেই সঙ্গে বৃষ্টির পূর্বাভাসে সিঁদুরে মেঘ দেখছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।