দেবজ্যোতি কাহালি: নিজের বাবা ধর্ষণ করল তার মেয়েকে! চাঞ্চল্য দিনহাটায়। এ কী ঘটছে চারিদিকে? আজকাল মানুষের লালসার যেন সীমা-পরিসীমা নেই! সমাজে কোনও কিছুই যেন আর অসম্ভব নয়। পিতাকন্যার স্নেহমধুর সম্পর্কের মধ্য়েই লালসার এই চিহ্ন নতুন করে ভাবাচ্ছে সকলকে। তৈরি করছে ঘোর অস্বস্তির বাতাবরণ, সন্দেহের আবহ।
কোচবিহারের দিনহাটায় এক নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল তারই বাবার বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে দিনহাটা ভিলেজ ওয়ান গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। ঘটনার বিবরণে জানা গিয়েছে, সুমন বর্মন নামের অভিযুক্ত ওই ব্যক্তি বেশ কিছুদিন ধরে তার ১২ বছর বয়সী মেয়েকে ধর্ষণ করে চলেছে।
এই ঘটনার কথা রবিবার সেই মেয়েটি তার প্রতিবেশী এক মহিলাকে জানালে তড়িঘড়ি তাঁরা সেখানকার গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যকে ব্যাপারটি জানান। খবর যায় পুলিসের কাছে। পরবর্তীতে সেই দিনহাটা থানায় খবর দেওয়া হলে দিনহাটা থানার পুলিস সেখানে গিয়ে অভিযুক্ত ২ জনকে গ্রেফতার করে। পরবর্তীতে সেই এলাকার বেশ কিছু মহিলা একত্রিত হয়ে দিনহাটা মহিলা থানায় অভিযুক্ত ব্যক্তি ও তার মায়ের নামে লিখিত অভিযোগ জানান।
এদিকে আরজি কর কাণ্ডে রোজই কিছু না কিছু নতুন তথ্য বেরিয়ে আসছে। বেশির ভাগ খবর আসছে সঞ্জয় সংক্রান্তই। যেমন, চেতলায় সঞ্জয়ের বন্ধু একটি মেয়ের সঙ্গে যৌনমিলন করলেও, সঞ্জয় করেনি। সে বাইরে তার বান্ধবীকে ভিডিয়ো কল করে নগ্ন ছবি চায়। ঘটনার দিন রাত ১১.৩০ টা নাগাদ সোনাগাছি যায় সঞ্জয়। সোনাগাছিতে গিয়ে বচসা হয়, সেখানে কোনও রকম যৌনতা করতে পারেনি সে। সঞ্জয় ও তার বন্ধু এরপর চলে যায় চেতলায় পতিতাপল্লিতে। অভিযোগ, এই যাওয়ার পথে রাস্তাতেই এক মহিলার শ্লীলতাহানি করে সঞ্জয়।
এর পরে রাস্তায় মদ খেয়ে সে রওনা দেয় আরজি করের দিকে। সেখানে গিয়ে সেমিনার হলে ঢুকে সে কি ওই ডাক্তারি ছাত্রীকে ধর্ষণ ও খুন করে? সিবিআই সূত্রে দাবি, সঞ্জয় তার লাই ডিটেক্টর টেস্টে জানিয়েছে, সে যখন সেমিনার হলে পৌঁছয়, তখন ওই তরুণীকে সেখানে সে মৃত অবস্থায় দেখতে পায়। তবে সূত্র বলছে, ৮ অগাস্ট বেলা ১১টার সময় চেস্ট মেডিসিন ওয়ার্ডে উপস্থিত ছিল সঞ্জয়। সেই সময় নির্যাতিতা চিকিত্সক ও ৪ জুনিয়র ডাক্তারও ওই ওয়ার্ডে ছিল। সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়েছে, সেইসময় সঞ্জয় তাঁদের দিকে কীভাবে হাঁ করে তাকিয়ে ছিল!