জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: 'বাংলায় ধর্ষণ ও শিশু নিগ্রহের মামলার শুনানির জন্য ১২৩ ফাস্ট ট্র্যাক কোর্ট বরাদ্দ করা হয়েছিল, কিন্তু বেশিরভাগ কোর্টই এখনও চালু হয়নি'। প্রধানমন্ত্রীকে যে চিঠি লিখেছিলেন মুখ্য়মন্ত্রী, চিঠির জবাব দিল কেন্দ্র।
ঘটনাটি ঠিক কী? আরজি কর কাণ্ডে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। ধর্ষণ রুখতে স্রেফ কড়া আইন নয়, এই ধরনের মামলায় ১৫ দিনের মধ্যে যাতে শুনানি শেষ হয়, তা নিশ্চিত করার আবেদন জানিয়েছিলেন তিনি। গত বৃহস্পতিবার নবান্নে সাংবাদিক সম্মেলনে সেই চিঠিটি পড়ে শুনিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রীর প্রধান উপদেষ্টা আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। পরে চিঠিটি এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রীও।
চারদিনের মাথায় কেন্দ্রের তরফে সেই চিঠির জবাব এল। মুখ্যমন্ত্রীকে এবার পাল্টা চিঠি দিলেন কেন্দ্রীয় নারী ও শিশু উন্নয়নমন্ত্রী অন্নপূর্ণা দেবী। চিঠির শুরুতেই আরজি করে নিহত চিকিত্সকের পরিবারের সমবেদনা জানিয়েছেন তিনি। চিঠিতে উল্লেখ. ২০১৯ সালে বিভিন্ন রাজ্যে ফার্স্ট ট্র্যাক কোর্ট চালুর জন্য একটি প্রকল্প চালু করে কেন্দ্র।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানিয়েছে, 'চলতি বছরের জুন মাস পর্যন্ত এই প্রকল্পে দেশের ৩০ রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ৪০৯ পকসো আদালত-সহ ৭৫২ ট্র্যাক কোর্ট চালু হয়ে গিয়েছে। নিষ্পত্তি হয়েছে আড়াই লাখেরও বেশি মামলার। বাংলার জন্য বরাদ্দ করা হয়েছিল ১২৩ ফার্স্ট ট্র্যাক কোর্ট। যদিও ২০২৩ সালে জুন পর্যন্ত একটি কোর্টও চালু হয়নি'। বস্তুত, মহিলা ও শিশুর জন্য কেন্দ্রের চালু করা হেল্পলাইন নম্বরটিও যে বাংলায় তৃণমূল সরকার কার্যকর করেনি, সেকথা উল্লেখ করা হয়েছে চিঠিতে।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেছেন, মহিলার বিরুদ্ধে অপরাধ রুখতে যে আইন রয়েছে, তা যথেষ্ট কঠোর। মুখ্যমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে উল্লেখ, 'যদিও আইন ও কেন্দ্রের বিভিন্ন উদ্যোগকে বাস্তবায়িত করা রাজ্যের এক্তিয়ারের পড়ে। আশা করি, মহিলাদের বিরুদ্ধে সবরকম অপরাধ ও বৈষম্য দূর করতে পশ্চিমবঙ্গ সরকার সচেষ্ট হবে এবং মহিলাদের জন্য সমাজের নিরাপদ পরিবেশ তৈরি করবে'।