• ভাইরাল ভিডিয়োটা ভুয়ো নয়, তবে…., RG কর কাণ্ডে ৪০ ফুটের হিসাব বোঝাল কলকাতা পুলিশ
    হিন্দুস্তান টাইমস | ২৭ আগস্ট ২০২৪
  • আরজি কর কাণ্ডে যে ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে, সেটা ভুয়ো নয় বলে স্বীকার করে নিল কলকাতা পুলিশ। তবে সেইসঙ্গে লালবাজারের তরফে এটাও স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে যে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের তরুণী চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার করা হয়েছিল, তার ৪০ ফুট পর্যন্ত জায়গা পুরোপুরি ঘিরে রেখেছিল পুলিশ। তদন্তকারী অফিসার, ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা ছাড়া হাতেগোনা কয়েকজনই সেখানে ঢুকতে পেরেছিলেন। তাঁদের কেউই বহিরাগত নন। নিয়মমাফিক যাঁদের ওই ‘কর্ডন’ করা জায়গায় যাওয়ার অনুমতি আছে, তাঁরাই গিয়েছেন বলে লালবাজারের তরফে দাবি করা হয়েছে।

    সোমবার দুপুর আরজি কর হাসপাতালের একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়ে যায়। তাতে দাবি করা হয় যে তরুণী চিকিৎসকের মৃতদেহ উদ্ধারের পরে সেমিনার হলের মধ্যে বহিরাগতদের জমায়েত হয়েছিল। আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের তিন ‘ঘনিষ্ঠ’ ব্যক্তিও সেখানে হাজির ছিলেন বলে দাবি করা হয়। সেই পরিস্থিতিতে তড়িঘড়ি সাংবাদিক বৈঠক ডেকে কলকাতা পুলিশের তরফে দাবি করা হয় যে ‘ক্রাইম সিন’-এ কোনও বহিরাগতকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি।

    বিষয়টি নিয়ে কলকাতা পুলিশের ডিসি ইন্দিরা মুখোপাধ্যায় জানান, ৪০ ফুটের জায়গার কোনও বহিরাগত ছিলেন না। ওখানে কোনও বহিরাগতের পক্ষে ঢোকা সম্ভব ছিল না। কারণ ওখানে লাইন দিয়ে পুলিশ বাহিনী দাঁড়িয়েছিল। ওই অংশের মধ্যে গুটিকয়েক ব্যক্তি প্রবেশ করতে পেরেছিলেন। শুধুমাত্র তদন্তকারী অফিসার, ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা, ছবি ও ভিডিয়ো তোলার দায়িত্বে থাকা ব্যক্তি, দেহ নিয়ে যাওয়ার দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিরা সেখানে প্রবেশ করেছিলেন। পরে সেখানে এসেছিলেন বাবা-মাও।

    বিষয়টি আরও ব্যাখ্যা করে কলকাতা পুলিশের ডিসি দাবি করেন, সেমিনার হলের দৈর্ঘ্য ৫১ ফুটের মতো। চওড়ায় হল ৩২ ফুট। সেমিনার হলের একটা অংশে তরুণী চিকিৎসকের মৃতদেহ ছিল। এই ঘরের ৪০ ফুট পর্যন্ত অংশ 'কর্ডন' করে রেখেছিল পুলিশ। অর্থাৎ যেখান থেকে তরুণী চিকিৎসকের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছিল, সেখান থেকে ৪০ ফুট পর্যন্ত অংশ 'কর্ডন-অফ' করা ছিল। যে ভিডিয়োটি ভাইরাল হয়েছে, সেটা 'কর্ডন' করে রাখা এলাকার বাইরের। ঘরের যে বাকি ১১ ফুট জায়গা ছিল, সেখানকার ভিডিয়ো এটি। 

    ওই ১১ ফুট জায়গায় অনেকেই হাজির ছিলেন বলে দাবি করেছেন কলকাতা পুলিশের ডিসি । তিনি দাবি করেছেন, তরুণী চিকিৎসকের পরিবারের সদস্য, পুলিশ অফিসার, হাসপাতালের কর্মী, চিকিৎসক এবং জুনিয়র ডাক্তাররা ছিলেন। যিনি মৃত বলে ঘোষণা করেন, তিনি সাধারণত জরুরি বিভাগে বসেন। তবে সেদিন তিনি ওই ১১ ফুটের জায়গায় বসেছিলেন।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)