• ঝাড়গ্রামে অপরিচ্ছন্ন কনকদুর্গা মন্দির চত্বর, তিন বছর ধরে বন্ধ নৌকাবিহার
    বর্তমান | ২৭ আগস্ট ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, ঝাড়গ্ৰাম: চিল্কিগড় কনকদুর্গা মন্দির ঝাড়গ্ৰামের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র। ডুলুং নদীর তীরে প্রাচীন এই মন্দিরটি অবস্থিত। বহু ইতিহাসের সাক্ষী এই স্থান। কনকদুর্গা পর্যটনক্ষেত্রে তিনবছর ধরে বন্ধ নৌকাবিহার। মন্দির চত্বরে আবর্জনা। উদাসীন স্থানীয় প্রশাসন।

    ঝাড়গ্ৰাম শহর থেকে পনেরো কিমি দূরে কনকদুর্গা মন্দির। ইতিহাস বলছে, চিল্কিগড়ের সামন্ত রাজা গোপীনাথ সামন্ত মন্দিরটি নির্মাণ করেছিলেন। জনশ্রুতি, দেবীর নির্দেশে রানির হাতের সোনার কাঁকন দিয়ে দেবীমূর্তি তৈরি হয়ছিল। অরণ্যে ঘেরা প্রাচীন এই মন্দির দেখতে পর্যটকরা ভিড় জমান। এবছরও পর্যটকদের আসা শুরু হয়ে গিয়েছে। পুজোর সময় ভিড় আরও বাড়বে। রাজ্য সরকারের উদ্যোগে মন্দিরটি নতুন করে সংস্কার হয়েছে। কিন্তু গত তিনবছর ধরে মন্দির সংলগ্ন পরিখায় নৌকাবিহার বন্ধ হয়ে আছে। একসময়ে নৌকাবিহার পর্যটকদের অন্যতম আকর্ষণ ছিল। মন্দির চত্বরের  পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। মন্দির চত্বর ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় যত্রতত্র আবর্জনা পড়ে থাকছে। পর্যটকরা সেই আবর্জনা পেরিয়েই যাতায়াত করছেন। মন্দির প্রাঙ্গণের অব্যবস্থা নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দারাও অভিযোগ করছেন। রাজ্য সরকার যেখানে জেলার পর্যটন কেন্দ্রগুলোকে সাজিয়ে তোলার উদ্যোগ নিচ্ছে। সেখানে কনকদুর্গা মন্দিরের কেন এই বেহাল অবস্থা। প্রশ্ন উঠছে স্থানীয় প্রশাসনের নজরদারির অভাব নিয়ে। কলকাতার দমদমের বাসিন্দা দীপক বসু বলেন, ছুটি পেলেই স্ত্রী, পুত্রকে নিয়ে বেড়াতে বেরিয়ে পড়ি। গুগল সার্চ করে চিল্কিগড় কনকদুর্গা মন্দিরের কথা জানতে পারি। সবুজ অরণ্য, নদী ও বহু ইতিহাসের সাক্ষী এই প্রাচীন মন্দিরে এসে ভালো লাগছে। তবে মন্দির চত্বরটি খুবই অপরিচ্ছন্ন। এত মানুষ এখানে আসছেন, মন্দির কমিটির এই বিষয়ে অবশ্যই নজর দেওয়া দরকার। লালাগড়ের বাসিন্দা তরুণ হেমাল মুর্মু, সুবল হেমব্রম বলেন, আগে এখানে এলেই নৌকাবিহার করতাম। ওটাই ছিল আমাদের আকর্ষণ। নৌকাবিহার আবার চালু হলে ভালো লাগবে। স্থানীয় বাসিন্দা নির্মল সৎপথী বলেন, স্থানীয় প্রশাসনের ঢিলেমিতেই নৌকাবিহার চালু করা যাচ্ছে না। মন্দির চত্বরে আবর্জনা জমে থাকে। পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করার কেউ নেই। কনকদুর্গা মন্দির কমিটির ম্যানেজার মানস জানা বলেন, ব্লক প্রশাসনকে নৌকাবিহার চালু করা নিয়ে বলা হয়েছে। আগামী বছর থেকে চালু হয়ে যাবে বলে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। 

    তিনি বলেন, মন্দির সকালে একবার পরিষ্কার করা হয়। মন্দির সংলগ্ন দোকানগুলো থেকে অনেক সময় আবর্জনা ফেলা হয়। আবর্জনা ফেলতে নিষেধ করা হয়েছে। সভাধিপতি চিন্ময়ী মারান্ডি বলেন, নৌকাবিহার যাতে দ্রুত চালু করা যায় তার চেষ্টা চলছে। মন্দিরটি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখার ব্যাপারে স্থানীয় পঞ্চায়েত ও মন্দির কমিটিকে বলা হবে। 
  • Link to this news (বর্তমান)