• কৌশিকী অমাবস্যায় কড়া নিরাপত্তা তারাপীঠে, অতিরিক্ত ২০০ সিসি ক্যামেরা, পুলিসের উইমেনস টিম
    বর্তমান | ২৭ আগস্ট ২০২৪
  • সংবাদদাতা, রামপুরহাট: কৌশিকী অমাবস্যা তিথিতে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে নিরাপত্তার চাদরে মুড়তে চলেছে বামাখ্যাপার সাধনাস্থল তারাপীঠ। গোটা তীর্থভূমিজুড়ে লাগানো হবে অতিরিক্ত ২০০টি সিসি ক্যামেরা। পর্যাপ্ত পুলিসের পাশাপাশি মহিলা তীর্থযাত্রীদের জন্য থাকবে উইমেন্স টিম। আগের দিন বিকেলে থেকেই অটো ও ট্রেকার বাদে অন্যান্য যানবাহন প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা থাকবে।

    গতবছর কৌশিকী অমাবস্যা তিথিতে আগের দিন সকাল ৮টা থেকেই পুণ্যার্থীদের প্রাইভেট গাড়ি তারাপীঠে প্রবেশ করতে দেয়নি পুলিস। যার জেরে যাত্রী সমাগমে ভাটা পড়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেন হোটেল মালিকরা। তাঁরা পুলিসের কাছে দাবি করেন, যে সমস্ত হোটেলের নিজস্ব পার্কিং ব্যবস্থা আছে, সেখানে যাত্রীদের গাড়ি নিয়ে প্রবেশের অনুমতি দিতে হবে। অন্যথায় হোটেল বন্ধ করে দেব। পরে পুলিস-প্রশাসন, টিআরডিএর চেয়ারম্যান আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় হোটেল অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে বৈঠকে বসে বিষয়টি সমাধান করেন।

    এবছর আগামী সোমবার ভোর ৫টা ৫মিনিটে কৌশিকী অমাবস্যা তিথি শুরু হবে। থাকবে পরের দিন সকাল ৬টা ২৯মিনিট পর্যন্ত। এবার অবশ্য পুলিস অনেক আগেই থেকে হোটেল মালিকদের সঙ্গে মিটিং করে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, আগের দিন বিকেল ৪টের পর পুণ্যার্থীদের প্রাইভেট গাড়ি প্রবেশ করতে দেওয়া হবে। জাতীয় সড়কের মনসুবা মোড়ে গাড়িগুলি আটকে দেওয়া হবে। জাতীয় সড়কের ধারে একাধিক পার্কিংয়ের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। সেখান থেকে অটো বা ট্রেকারে চেপে যাতায়াত করতে পারবেন পুণ্যার্থীরা। সেই সঙ্গে যে সমস্ত প্রাইভেট গাড়ি নির্দিষ্ট সময়ের আগে তারাপীঠে প্রবেশ করবে, সেই গাড়িগুলি হোটেলের নির্দিষ্ট পার্কিংয়ে রাখতে হবে। রাস্তার ধারে গাড়ি দাঁড় করানো থাকলে প্রশাসন ব্যবস্থা নেবে।

    এদিকে অপ্রীতিকর ঘটনা রুখতে নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হবে গোটা তারাপীঠ। ভিনজেলার পুলিস মিলিয়ে ১৮০০ ফোর্স মোতায়েন থাকবে। যা গতবারের থেকে বেশি। থাকবে অ্যান্টি ক্রাইম টিম। বিভিন্ন রাস্তা মিলিয়ে ২৭টি ড্রপ গেট করা হয়েছে। মন্দির ও তারাপীঠের বিভিন্ন রাস্তা মিলিয়ে ৫০টির মতো সিসি ক্যমেরা রয়েছে। এবার কৌশিকী তিথি উপলক্ষ্যে অতিরিক্ত আরও ২০০টি সিসি ক্যামেরা ও ন’টি ওয়াচ টাওয়ার এবং একাধিক ড্রোন ক্যামেরা উড়িয়ে গোটা তারাপীঠে নজরদারি চালানো হবে। যাত্রীদের সুবিধার্থে ১৫টি পুলিসি সহায়তা কেন্দ্র ও ক্যুইক রেসপন্স টিম থাকবে। সেই সঙ্গে মহিলাদের নিরাপত্তা ও ইভটিজিং রুখতে থাকবে উইমেন্স টিম। যারা স্কুটি চালিয়ে তারাপীঠ চক্কর দেবে। মহিলারা কোনও সমস্যায় পড়লে তাঁদের জানাতে পারবেন। এছাড়া তারাপীঠজুড়ে লাগানো একাধিক মাইকে পকেটমার, দালাল ও প্রতারকদের থেকে সতর্ক থাকার জন্য ঘোষণা করা হবে। গতবার ভিড়ে বহু পর্যটকের সোনার হার, মানিব্যাগ ও মোবাইল চুরির ঘটনা ঘটেছিল। এবার তা রুখতে পর্যটকদের ভিড়ে মিশে থাকবে সাদা পোশাকের পুলিস। অন্যদিকে এবার হরিদ্বারের আদলে দ্বারকা পাড়ে শুরু হচ্ছে আরতি। সেই মতো ঩ভিড়ে যাতে কেউ নদে পড়ে না যান সেজন্য দ্বারকার পার বরাবর লোহার রেলিং দিয়ে ঘিরে ফেলা হচ্ছে। থাকবে বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের কর্মীরা। 
  • Link to this news (বর্তমান)