• খুঁটিপুজোর মাধ্যমে দুর্গাপুজোর প্রস্তুতি শুরু করে দিল বেলতলা সর্বজনীন
    বর্তমান | ২৭ আগস্ট ২০২৪
  • সৌম্য দে সরকার, মালদহ: ইংলিশবাজারে বেলতলা সর্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটির খুঁটিপুজো অনুষ্ঠিত হল সোমবার। দুর্গাপুজোর ঢাকে এক প্রকার কাঠিও পড়ে গেল এই খুঁটিপুজোর মাধ্যমে। খুঁটিপুজোয় অংশ নেন এই ক্লাব তথা পুজো কমিটির সভাপতি এবং বিধায়ক নীহাররঞ্জন ঘোষ, ক্লাব সম্পাদক তথা ইংলিশবাজার পুরসভার কাউন্সিলার সুজিত কুমার সাহা, পুজো কমিটির সম্পাদক কৌশিক অধিকারী প্রমুখ। এবার এই দুর্গাপুজো ২৮তম বর্ষে পদার্পণ করছে।

    ক্লাবের সম্পাদক সুজিতবাবু বলেন, এই ক্লাবে ৫৪ বছর ধরে কালীপুজো হয়ে আসছে। কিন্তু দুর্গাপুজো শুরু হয় ২৮ বছর আগে। আমরা প্রতি বছরই দুর্গাপুজোয় কিছু ইতিবাচক বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করি। এবার আমাদের পুজোয় থাকছে শান্তিনিকেতনের ঘরানা। মূল পুজো মণ্ডপ হচ্ছে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের উপাসনা গৃহের আদলে। প্রতিমাতেও থাকছে শিল্পী নন্দলাল বসুর শিল্পকর্মের ছাপ।

    এর আগে কখনও তামাক বিরোধিতা,আবার কখনও হারিয়ে যাওয়া গ্রন্থাগারের ঐতিহ্য তুলে ধরেছিল বেলতলা সর্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটি। শৈশবে ব্যবহৃত বিভিন্ন খেলনা ব্যবহার করেও কখনও পুজোয় নজর কেড়েছেন উদ্যোক্তারা।ক্লাব সভাপতি নীহাররঞ্জনবাবু বলেন, সোমবার ছিল জন্মাষ্টমী। ভগবান শ্রীকৃষ্ণের শুভ জন্মতিথি। আবার নোবেল বিজয়িনী মাদার টেরিজারও এদিন জন্মদিন ছিল। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সর্বধর্ম সমন্বয়ের বার্তা দেন বারবার। আমরাও এমনই একটি শুভদিনে দুর্গাপুজোর প্রস্তুতি শুরু করে দিলাম খুঁটিপুজোর মধ্যদিয়ে। পুজো কমিটির সম্পাদক কৌশিকবাবু বলেন, স্বল্প বাজেটেই দৃষ্টিনন্দন পুজো বরাবরই উপহার দিয়ে থাকে এই ক্লাব। এবারও পুজোর বাজেট থাকছে পাঁচ থেকে সাত লক্ষ টাকার মধ্যেই। ক্লাব সম্পাদক সুজিতকুমার সাহা বলেন, পুজো কমিটির  সদস্যবৃন্দ দেবাশিস, মিঠু, রাহুল, বুবুন, রাজা, সুমিত, মন্তোষ, সঞ্জয়, ময়না, সোমেন, সন্তু, সন্তোষ প্রমুখ অক্লান্ত পরিশ্রমের মাধ্যমে এই পুজোকে সার্থক করে তুলতে সাহায্য করেন প্রতিবারই। দুর্গাপুজোর পরে বিজয়া সম্মিলনীও অনুষ্ঠিত হয় সাড়ম্বরে। ক্লাবের সদস্য, এলাকার বাসিন্দা, ব্যবসায়ী সকলে অংশ নেন এই মিলনোৎসবে। বেলতলা সর্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটির অন্যতম বৈশিষ্ট্য তাঁদের কুমারীপুজোও।  নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)