• ভাঙন রোধে বাংলা কেন বঞ্চিত, রতুয়ায় গিয়ে প্রশ্ন তুললেন মৌসম
    বর্তমান | ২৭ আগস্ট ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, মালদহ: ভাঙন রোধে পাশের রাজ্য বিহার টাকা পেলে বাংলা কেন বঞ্চিত, প্রশ্ন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ মৌসম নুরের। সোমবার রতুয়ার প্লাবিত এলাকা পরিদর্শন করে কেন্দ্রের কাছে মাস্টার প্ল্যানের দাবি জানালেন সাংসদ। 

    ‘আপার ক্যাচমেন্টে’র জলে ফের বিপদসীমা অতিক্রম করেছে গঙ্গা। মানিকচকের পাশাপাশি গঙ্গার জলে প্লাবিত হয়েছে  রতুয়া -১ ব্লকের মহানন্দাটোলা ও বিলা‌ইমারি পঞ্চায়েতের বিস্তীর্ণ এলাকা। পাড় ভাঙতে ভাঙতে এখানে গঙ্গা ফুলহার নদীর কাছাকাছি চলে এসেছে। সাংসদ মৌসম নূর এদিন রতুয়া র প্লাবিত এলাকা পরিদর্শন করে বলেন, গঙ্গা ভাঙন রোধে একটা স্থায়ী সমাধান প্রয়োজন। তার জন্য একটা মস্টারপ্ল্যান দরকার। আমরা দেখেছি বিহারেও খুব ভালো কাজ হয়েছে। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গকে বিশেষ করে মালদহকে পুরোপুরি বঞ্চিত করে রাখা হয়েছে। ভাঙন নিয়ে আমরা বলেছি, আগামীদিনেও বলব। আমি নিজে ভাঙন কবলিত রতুয়া বিধানসভা এলাকা পরিদর্শন করে গেলাম। কয়েকদিনের মধ্যে ভূতনিতেও যাব। রাজ্যের সেচমন্ত্রী মানস ভুঁইয়ার সঙ্গেও কথা হয়েছে। তিনি কাজ করাচ্ছেন। কিন্তু মাস্টরপ্ল্যান তৈরি না করলে ভাঙন রোখা যাবে না। 

    মৌসম অরও বলেন, ভাঙন মালদহের একটা জ্বলন্ত সমস্যা। বিষয়টি আমি সংসদেও তুলেছি। যেহেতু এখন গঙ্গার জলস্তর বেড়ে গিয়েছে। রতুয়ায় গঙ্গা এবং ফুলহার নদীর মধ্যে মাত্র ৩০০ মিটারের দূরত্ব রয়েছে। গঙ্গা ও ফুলহার নদী মিলে গেলে মালদহের মানচিত্র বদলে যাবে। গ্রামের পর গ্রাম গঙ্গায় তলিয়ে যাবে।

    রতুয়া-১ ব্লকের মহানন্দাটোলা ভিলাইমারি গ্রাম, মানিকচকের ভূতনি, কালিয়াচক-২ এবং ৩ ব্লকের প্রচুর মানুষ ঘরছাড়া হবে। বাড়ি জমি আমবাগান সবটাই নদীবক্ষে তলিয়ে যাবে। গঙ্গার ভাঙন একটি জাতীয় বিপর্যয়।  আমি অনেকবার সংসদে তুলেছি যে গঙ্গা ফারাক্কা ব্যারেজের অধীনে আছে। কিন্তু তাদের কাছ থেকে কোনও সহযোগিতা পাওয়া যায় না। আমাদের মুখ্যমন্ত্রীও অনেকবার চিঠি করেছেন। প্রশাসনের তরফেও দিল্লিতে বারবার যোগাযোগ করা হয়। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না।  রতুয়া ব্লকের মহানন্দাটোলায় প্লাবিত এলাকা পরিদর্শনে তৃণমূল সাংসদ মৌসম নূর।-নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)