• জলদাপাড়াকে মডেল পর্যটন গ্রাম হিসেবে তুলে ধরার পরিকল্পনা
    বর্তমান | ২৭ আগস্ট ২০২৪
  • সংবাদদাতা, আলিপুরদুয়ার: জলদাপাড়া গ্রামের নামেই যাত্রা শুরু হয়েছে জলদাপাড়া বন বিভাগের। যদিও পর্যটন মানচিত্রে জলদাপাড়া বলতে মাদারিহাটকেই বোঝানো হয়। পর্যটন মানচিত্র থেকে হারিয়ে গিয়েছে জলদাপাড়া গ্রাম। এবার মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে পর্যটন মানচিত্রে জলদাপাড়া গ্রামটিকে মডেল পর্যটন গ্রাম হিসেবে তুলে ধরার পরিকল্পনা শুরু হয়েছে। এলাকার বিধায়ক হিসেবে বিধানসভার পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির চেয়ারম্যান সুমন কাঞ্জিলাল এই উদ্যোগে এগিয়ে এসেছেন। 

    শালকুমার হল জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের দ্বিতীয় প্রবেশদ্বার। শালকুমার গেট দিয়েও যে জলদাপাড়ায় হাতি বা কার সাফারির বুকিং করা যায় প্রচারের অভাবে পর্যটকদের অনেকের কাছেই তা এখনও অজানা। ফলে প্রচারের অভাবে মার খাচ্ছে শালকুমার গেটের বুকিং। মার খাচ্ছে শালকুমারের পর্যটন ব্যবসা। এমনই অভিযোগ স্থনীয় পর্যটন ব্যবসায়ীদের। অনলাইনে সাফারির সিংহভাগ বুকিং হচ্ছে মাদারিহাট দিয়ে। ঠিক এই আবহেই শালকুমার-১ পঞ্চায়েতের জলদাপাড়া গ্রামটিকে পর্যটন মানচিত্রে তুলে ধরার প্রয়াস শুরু হয়েছে। জলদাপাড়া গ্রামটিকে বলা হয় মিনি ইন্ডিয়া। এখানে রাজবংশীদের সঙ্গে রাভা, মেচ সহ বিভিন্ন জনজাতির মানুষের বসবাস। নদী, চা বাগান ও জঙ্গল দিয়ে ঘেরা গ্রামটিতে প্রকৃতি উপুড় করে দিয়েছে নৈসর্গিক সৌন্দর্য। জঙ্গলবেষ্টিত এই গ্রামই জলদাপাড়া বন বিভাগের দ্বিতীয় প্রবেশদ্বার।

    সুমন কাঞ্জিলাল বলেন, মুখ্যমন্ত্রী প্রকৃতি নির্ভর গ্রামকে পর্যটন মানচিত্রে বেশি করে তুলে ধরতে চাইছেন। তাই মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে দুর্গাপুজো ও পর্যটন মরশুম শুরুর আগে জলদাপাড়া গ্রামকে মডেল পর্যটন গ্রাম হিসেবে তুলে ধরার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এখানে শিক্ষামূলক ট্যুরের উপর জোর দেওয়া হয়েছে। সেজন্য কলকাতার কোনও কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ের জার্নালিজম বিভাগের পড়ুয়াদের স্টাডি ট্যুরে আনার পরিকল্পনা চলছে। যাতে পড়ুয়ারা জলদাপাড়া গ্রামের বিভিন্ন জনজাতির ভাষা ও খাদ্য নিয়ে স্টাডি করার সুযোগ পায়। 

    বিধায়ক আরও বলেন, সেজন্য বেশি করে হোমস্টে তৈরির উপর জোর দেওয়া হচ্ছে। যাতে হোমস্টের মাধ্যমে স্থানীয় জনজাতির মানুষের কর্মসংস্থানের পথ সুগম হয়। ইতিমধ্যেই জেলা প্রশাসনের সঙ্গে এনিয়ে বৈঠক হয়েছে। 

    শালকুমারের শিসামারার হোমস্টে ব্যবসায়ী দেবাশিস রাউত বলেন, আমাদের সঙ্গেও এনিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। এই উদ্যোগের জন্য বিধায়ককে ধন্যবাদ জানাই। শালকুমার-১ পঞ্চায়েতের প্রধান শ্রীবাস রায় বলেন, শালকুমারে পর্যটক টানতে আমরাও এই উদ্যোগকে স্বাগত জানাচ্ছি।  নিজস্ব চিত্র।
  • Link to this news (বর্তমান)