• আন্দোলনকারীদের নজরবন্দি করতে হাওড়ায় ৯০০ ক্যামেরা
    বর্তমান | ২৭ আগস্ট ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, হাওড়া: আজ মঙ্গলবার নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছে ‘ছাত্র সমাজ’। ফলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে তৎপর হাওড়া সিটি পুলিসের কর্তারা। সোমবার বিকেল থেকেই নবান্নে ঢোকার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট লোহার ব্যারিকেড দিয়ে সিল করার ব্যবস্থা করা হয়েছে। কলকাতা ও হাওড়ার পাশাপাশি বিভিন্ন জেলার পুলিস কমিশনারেট থেকে প্রচুর পুলিসকর্মী নিয়ে আসা হয়েছে এদিন। ৯০০টি সিসি ক্যামেরায় নজরদারির পাশাপাশি ড্রোনের মাধ্যমেও রাজ্যের মূল প্রশাসনিক ভবনকে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার বলয়ে মুড়ে রাখতে চায় পুলিস।

    নবান্নের দিকে যাওয়ার মূল চারটি প্রবেশপথকে লোহার ব্যারিকেড দিয়ে সিল করে দেওয়া হচ্ছে। জিটি রোডের বঙ্গবাসী মোড়, কোনা এক্সপ্রেসওয়ের গ্যারেজ মোড়, আন্দুল রোডের লক্ষ্মীনারায়ণতলা এবং রামকৃষ্ণ ঘাট-ফোরশোর রোড ক্রসিংয়ে বসানো হবে স্থায়ী ব্যারিকেড। এদিন বিকেলে বঙ্গবাসী মোড়ে গিয়ে দেখা গেল, রীতিমতো রাস্তা খুঁড়ে বড় বড় লোহার খুঁটি পোঁতা হচ্ছে। খুঁটিঝালাই করে তাতে লোহার ব্যারিকেড জুড়ে দেওয়া হয়েছে। বড় রাস্তার পাশাপাশি নবান্ন সংলগ্ন শিবপুর, মন্দিরতলা, বেলেপোল, কাজিপাড়ার মতো এলাকাতেও গার্ডরেল দিয়ে রাস্তা আটকানো হয়েছে। মূল চার পয়েন্টেই ২৫টি করে হাই রেজ্যুলেশনের ক্যামেরা বসানো হয়েছে। পাশাপাশি শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় থাকা প্রায় ৮০০টি ক্যামেরার মাধ্যমেও দিনভর কন্ট্রোল রুমে বসে নজরদারি চালাবেন পুলিসকর্মীরা। সবমিলে নজরদারিতে থাকবে ৯০০টি ক্যামেরা। 

    সোমবার বিকেলে হাওড়ার শরৎ সদনে একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেন পুলিসকর্তারা। সেখানে উপস্থিত ছিলেন হাওড়া কমিশনারেট ও রাজ্য পুলিসের পদস্থ আধিকারিকরা। নবান্ন অভিযানকে ঘিরে সংঘর্ষের আশঙ্কায় প্রায় ২১০০ পুলিসকর্মীকে মোতায়েন করা হচ্ছে বিভিন্ন পয়েন্টে। সোমবার বিকেলের মধ্যেই হাওড়া সিটি ও গ্রামীণ পুলিস, কলকাতা পুলিস, বিধাননগর পুলিস কমিশনারেট, বারাকপুর পুলিস কমিশনারেট, আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিস কমিশনারেট এবং চন্দননগর পুলিস কমিশনারেট থেকে পুলিসকর্মী নিয়ে আসা হয়েছে হাওড়ায়। প্রতিটি পয়েন্টে থাকছে র‍্যাফও। এই বিশাল পুলিস বাহিনীকে সামলাতে চারজন এডিজি, ১৩ জন ডিআইজি ও ১৫ জন এসপি পদমর্যাদার অফিসার থাকছেন। পাশাপাশি, নবান্নে ঢোকার চারটে গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টেই একটি করে জলকামান মজুত রাখা হবে বলে পুলিস সূত্রে খবর।

    পাশাপাশি সতর্ক হাওড়া গ্রামীণ পুলিসও। জেলার গ্রামীণ এলাকার পাশাপাশি ১৬ নং জাতীয় সড়কের বিভিন্ন জায়গায় পুলিসি ব্যাবস্থা করা হয়েছে। মঙ্গলবার পাঁচলা মোড়, উলুবেড়িয়া নরেন্দ্র মোড়, বাগনান লাইব্রেরি মোড়, আমতা মোড় সহ একাধিক মোড়ে পুলিস বাহিনী মোতায়েন থাকবে। হাওড়া গ্রামীণ জেলা পুলিস সুপার স্বাতী ভাঙ্গালিয়া জানান, আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করা আমাদের লক্ষ্য। সেই লক্ষ্যে ইতিমধ্যে সবরকম ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানান পুলিস সুপার। 
  • Link to this news (বর্তমান)