• কোথাও কোমর, কোথাও হাঁটু সমান জলে টানা ৯ দিন জল যন্ত্রণা, ইছাপুরে পথ অবরোধ
    বর্তমান | ২৭ আগস্ট ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, হাওড়া: গত ৯ দিন ধরে জমা জলে ডুবে রয়েছে গোটা এলাকা। বন্ধ স্থানীয় বাজার। স্কুল-কলেজে যাওয়া শিকেয় উঠেছে পড়ুয়াদের। হাওড়া পুরসভার ৪৩ নম্বর ওয়ার্ডের ড্রেনেজ ক্যানাল রোডে বর্তমানে হাঁটু সমান জল। ফলে চরম ভোগান্তির মধ্যে পড়েছেন বাসিন্দারা। বাধ্য হয়ে সোমবার ইছাপুর মোড় পথ অবরোধ করে প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা ধরে বিক্ষোভ দেখালেন ওই ওয়ার্ডের কয়েকশো বাসিন্দা। বাধ্য হয়ে ছুটে আসেন হাওড়া পুরসভার মুখ্য প্রশাসক ডাঃ সুজয় চক্রবর্তী। তাঁকে দেখে ক্ষোভে ফেটে পড়েন বাসিন্দা ও ব্যবসায়ীরা। ইছাপুর এলাকায় উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন পাম্প বসিয়ে জল বের করার আশ্বাস দিয়েছেন সুজয়বাবু। ৪৩ নম্বর ওয়ার্ডের ইছাপুর রোড, পরাণন্দ্র দাস রোড, এইচআইটি আবাসন এলাকার বাসিন্দারা এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে জল যন্ত্রণায় ভুগছেন। বাপন দাস, সুব্রত রায়, শিখা চক্রবর্তীদের অভিযোগ, পঞ্চাননতলা সহ আশপাশের এলাকা থেকে জল ঢুকছে ড্রেনেজ ক্যানাল রোডে। এই এলাকার সমস্ত নিকাশিনালা অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে। জমা জলের সমস্যা এতটাই যে, কোনও কোনও এলাকায় রীতিমতো কোমরের কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছে জলস্তর। দোকান ও বাড়ির ভিতরে থই থই অবস্থা। বিকেলের দিকে গুটিকয়েক ব্যবসায়ী দোকান খুললেও বাজার বন্ধই থাকছে। চরম আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন তাঁরা। এদিন সকাল ১০টা নাগাদ ইছাপুর মোড়ে জড়ো হন প্রায় দুই শতাধিক বাসিন্দা। ক্ষুব্ধ বাসিন্দাদের বুঝিয়েও অবরোধ তুলতে ব্যর্থ হয় ব্যাঁটরা থানার পুলিস। এরপর অবরোধকারীদের বোঝাতে সেখানে যান হাওড়া পুরসভার মুখ্য প্রশাসক। তাঁকে সামনে পেয়ে আঁচ বাড়ে বিক্ষোভের। প্রায় এক ঘণ্টা তাঁকে ঘিরে রাখেন স্থানীয়রা। এরপর বাধ্য হয়ে তিনি বাসিন্দাদের সঙ্গে কোমর সমান জলে নামেন। খতিয়ে দেখেন বেশ কয়েকটি গলির জলমগ্ন অবস্থা। বাসিন্দাদের ক্ষোভকে যুক্তিসঙ্গত বলেই দাবি করেছেন সুজয়বাবু। 

    এরপর ইছাপুর এলাকায় একটি জায়গা চিহ্নিত করে সেখানে দ্রুত পাম্প হাউস বানানোর প্রতিশ্রুতি দেন তিনি। সুজয় চক্রবর্তী বলেন, ‘কেএমডিএর উদ্যোগে গঙ্গা অ্যাকশন প্ল্যানের কাজ চলছে। সেকারণে বেশ কিছু জায়গায় নিকাশির সমস্যা রয়েছে। জমা জল সরাতে এই এলাকায় উচ্চ ক্ষমতার একটি পাম্প বসানো হবে’। এদিন পুরসভায় এসে আধিকারিকদের নাগরিক পরিষেবার বিষয়ে আরও সজাগ থাকার নির্দেশ দেন তিনি। হাওড়ার বিভিন্ন এলাকার নিকাশি সমস্যা নিয়ে তিনি নিয়মিত পুর কমিশনার ও ইঞ্জিনিয়ারদের সঙ্গে বৈঠকে বসার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। বেলা আড়াইটে নাগাদ বিক্ষোভকারীরা অবরোধ তুললে ড্রেনেজ ক্যানাল রোডে ধীরে ধীরে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
  • Link to this news (বর্তমান)