এই সময়, ডায়মন্ড হারবার: আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে ১৪ অগস্ট রাতে পথে নেমেছিল সাধারণ মানুষ। সেই রাতে আরজি কর হাসপাতালে দুষ্কৃতী হামলার ঘটনায় কড়া প্রতিক্রিয়া ফুটে ওঠে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের এক্স হ্যান্ডলে।তার দু’দিন পরে ১৬ অগস্ট তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে রাজ্যজুড়ে আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা পথে নামলেও অভিষেকের ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রে কোনও প্রতিবাদ বিক্ষোভ হয়নি। এ বার অভিষেকের ঘনিষ্ঠ নেতা-কর্মীদের সোশ্যাল মিডিয়ায় একের পর এক ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্ট ঘিরে জল্পনা শুরু হয়েছে।
গত সপ্তাহেই সোশ্যাল মিডিয়ায় অভিষেক অনুগামী নেতা এমনকী এক সাংসদও পোস্ট করেছিলেন, ‘সময়ের ডাক, সেনাপতি পথ দেখাক।’ এ বার সোমবার সকাল থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় ডায়মন্ড হারবারের তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা একটি স্লোগান পোস্ট করেন। তাতে লেখা, ‘আসুক দাদা, ফিরুক স্বচ্ছতা। সুষ্ঠু প্রশাসন, করবে সুশাসন। বেহাল দশা, দেখাবে দিশা।’
তৃণমূল সূত্রের খবর, ১৬ তারিখের প্রতিবাদ বিক্ষোভ নিয়ে অভিষেকের কোনও সুস্পষ্ট নির্দেশ না থাকায় পথে নামেননি ডায়মন্ড হারবারের তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা। সোমবার দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের সদস্য, যাদবপুর সাংগঠনিক জেলার মহিলা তৃণমূল নেত্রী মনমোহিনী বিশ্বাসের ফেসবুকের টাইম লাইনে জ্বলজ্বল করতে শুরু করে নতুন ওই পোস্ট। ওই লোকসভার সাতটি বিধানসভার নেতা-কর্মীদের বড় অংশও নতুন স্লোগান সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে চলেছেন।
অভিষেক-ঘনিষ্ঠ ডায়মন্ড হারবারের এক তৃণমূল নেতা বলেন, ‘আরজি কর কাণ্ড রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের অস্বচ্ছতা প্রকাশ্যে এনে দিয়েছে। তা সামাল দিতে গিয়ে নাজেহাল হচ্ছে রাজ্য প্রশাসন তথা রাজ্য সরকার। একের পর এক ভুল পদক্ষেপের জন্য জনসাধারণের কাছে সরকার ও দল নিয়ে ভুল বার্তা যাওয়ায় দলের নেতা-কর্মীরাও হতভম্ব এবং আশাহত। তাই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে তুলে দেওয়া হোক দল পরিচালনার দায়িত্ব। তবেই স্বচ্ছতার সঙ্গে সুষ্ঠু প্রশাসন ফিরবে।’
ডায়মন্ড হারবারে শাসকদলের দুই শিক্ষক নেতা বুবাই কোলে এবং সাইফুল্লা হালদার বলেন, ‘রাজ্যে যে ভাবে অস্থিরতা তৈরি হয়েছে, সেটা সামাল দিতে গেলে তৃণমূলের সেনাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কেই এগিয়ে আসতে হবে।’