• ফিরছে ডিএসটিসির পুরোনো রুট, চলবে ইলেকট্রিক ও সিএনজি বাস
    এই সময় | ২৭ আগস্ট ২০২৪
  • এই সময়, দুর্গাপুর: কালো কাচের জানলা সমেত নরম গদিওয়ালা ডিলাক্স বাস। সত্তরের দশকের দুর্গাপুর স্টেট ট্রান্সপোর্ট কর্পোরেশনের (ডিএসটিসি) সেই বাসের কথা মনে আছে? প্রায় পাঁচ দশকের বেশি পুরোনো সেই স্মৃতি ফের একবার উস্কে দিতে এক নতুন উদ্যোগ নিয়েছেন দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থা (এসবিএসটিসি) কর্তৃপক্ষ।সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, ডিএসটিসি-র রুটে এ বার ইলেকট্রিক ও সিএনজি বাস চালানো হবে। এসবিএসটিসি-র চেয়ারম্যান সুভাষ মণ্ডল বলেন, ‘দুর্গাপুজোর পর থেকে দুর্গাপুরের রাস্তায় ইলেকট্রিক বাস ও কিছু সিএনজি বাস চলবে। দুর্গাপুর শহর ও যে সব গ্রামীণ এলাকার মধ্যে ডিএসটিসি বাস চলাচল করত সেই রুটে এই বাসগুলি চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আরও কিছু পুরোনো রুটে বাস চালানোর পরিকল্পনা রয়েছে।’

    তিনি আরও জানান, ইলেকট্রিক বাসের চার্জিং পয়েন্টের জন্য এখনও চূড়ান্ত জায়গা ঠিক হয়নি। ট্রাঙ্ক রোড ডিপো অথবা গ্যারাজ মোড়— এই দু’টি জায়গার কোনও একটিতে চার্জিং পয়েন্ট করা হবে। ১৯৬৩ সালের ১৫ অগস্ট রাজ্যের স্বরাষ্ট্র বিভাগের নিয়ন্ত্রণে ৪টি বাস নিয়ে দুর্গাপুরে চালু হয় রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থা।

    ১৯৬৭ সালে বর্ধমানের কমিশনারকে চেয়ারম্যান নিয়োগ করে চালু হয় দুর্গাপুর ট্রান্সপোর্ট বোর্ড। পরবর্তী সময়ে ১৯৭৩ সালের ৭ ডিসেম্বর গঠিত হয় ডিএসটিসি। সেই সময়ে কয়েকটি দূরপাল্লা-সহ ৮টি ডিলাক্স বাস দুর্গাপুর ও সংলগ্ন গ্রামীণ এলাকায় চলাচল করত। তারমধ্যে একটি জনপ্রিয় রুট ছিল গোপালমাঠ থেকে মেন হাসপাতাল ভায়া বেনাচিতি।

    গোপালমাঠের বাসিন্দা তথা আইএনটিইউসি নেতা বিকাশ ঘটক বলেন, ‘আমার মনে আছে, ডিএসটিসি বাসে করে গোপালমাঠের বহু মানুষ মেন হাসপাতালে যেতেন। বাসে উঠলে ১৫ পয়সা ভাড়া দিতে হতো। দূরত্ব অনুযায়ী ভাড়া ছিল ২০ ও ২৫ পয়সা। কাদারোড মোড়ে ছিল বাসের টাইম চেকিং ডিপো। সেই সময়ে একটা নিয়ম-শৃঙ্খলা ছিল। নির্দিষ্ট সময়ে বাস চলত। যাত্রী-স্বাচ্ছন্দের দিকেও নজর ছিল।’

    ইস্পাতনগরীর বাসিন্দা তন্ময় সরকারের স্মৃতিচারণা, ‘ডিএসটিসি ডিলাক্স বাস ছাড়াও দুর্গাপুর শহরে ডবল ডেকার বাস চলত। ছাত্রছাত্রীদের ভাড়া ছিল ২৫ পয়সা।’ ১৯৮৮ সালে ডিএসটিসি এসবিএসটিসি-তে পরিবর্তিত হয়।
  • Link to this news (এই সময়)