• ‘‌দুর্গা ভাণ্ডার’‌ নিয়ে এবার ইচ্ছুক–অনিচ্ছুক বিভাজন, একজোট হওয়ার ডাক পুরপ্রধানের
    হিন্দুস্তান টাইমস | ২৭ আগস্ট ২০২৪
  • আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুন করা হয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে নানা আন্দোলন এখন শুরু হয়েছে রাজ্যজুড়ে। তার প্রেক্ষিতে এবার রাজ্য সরকারের দেওয়া ‘দুর্গার ভাণ্ডার’ ফিরিয়ে দিচ্ছে একের পর এক দুর্গাপুজো কমিটি। হুগলি জেলায় চারটি দুর্গাপুজো কমিটি জানিয়ে দিয়েছে, এবার তারা ওই ৮৫ হাজার টাকা অনুদান নেবে না। এই তালিকা বাড়ছে। এই আবহে ‘দুর্গার ভাণ্ডার’ নিতে ইচ্ছুক কমিটিগুলিকে সমবেত হতে বার্তা দিয়েছেন কোন্নগর পুরসভার চেয়ারম্যান স্বপন দাস। তাহলেই অনিচ্ছুকদের সংখ্যা বেরিয়ে আসবে।

    আজ, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ‘চলচ্চিত্রম মোড়ে’ ইচ্ছুক দুর্গাপুজো কমিটিদের আসার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন চেয়ারম্যান স্বপন দাস। ‘দুর্গার ভাণ্ডার’ অর্থাৎ দুর্গাপুজোর অনুদান চালু হয়েছিল ২০১৭–১৮ সাল থেকে। একটানা তা চলে আসছিল। এবার আরজি কর হাসপাতালের ঘটনার পর প্রতিবাদ হিসাবে ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে সেই অনুদান। ‘দুর্গা ভাণ্ডার’ পেতে গেলে পোর্টালে আবেদন করতে হয়। আর নিয়ম অনুযায়ী নথি জমা করতে হয়। তবেই তা মেলে। ইচ্ছুক পুজো কমিটিগুলি তা করে অনুদান পান। এই বছর নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে দুর্গাপুজো কমিটিগুলির সঙ্গে বৈঠক হয়। সেখানেই পুজো কমিটিগুলিকে ৮৫ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে বলে ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

    এই ‘দুর্গার ভাণ্ডার’ যখন শুরু হয়েছিল তখন অনুদানের পরিমাণ ছিল ১০ হাজার টাকা। পরে সেই অনুদানের অঙ্ক বাড়াতে থাকে। কলকাতার সরকারি হাসপাতালে ধর্ষণ–খুন হওয়ার পর ‘দুর্গার ভাণ্ডার’ ফিরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কয়েকটি দুর্গাপুজো কমিটি। আর তা নিয়ে এখন জোর চর্চা শুরু হয়েছে রাজ্য–রাজনীতিতে। তাই এবার অনুদান নিতে ‘ইচ্ছুকদের’ একজোট করার ডাক দিয়েছেন কোন্নগরের পুরপ্রধান। তিনি জানান, আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নিজেদের ব্যানার, পোস্টার নিয়ে জড়ো হতে হবে ওই দুর্গাপুজো কমিটির সদস্যদের। এতেই চাপে পড়ে গিয়েছে বিজেপি। তাই বিজেপির অভিযোগ, পুরপ্রধানের এই ডাকেই স্পষ্ট, অনুদান নিয়ে রাজনীতি হচ্ছে।

    এই অনুদান নিয়ে পুরপ্রধান হোয়াটসঅ্যাপ করেছেন দুর্গাপুজো কমিটিগুলিকে। তাই এটা জানতে পেরে বিজেপি নেতা প্রণয় রায় বলেন, ‘উত্তরপাড়ার পথে হেঁটেছে কোন্নগরের মাস্টারপাড়া। একাধিক পুজো কমিটি আরজি কর হাসপাতালের ঘটনায় প্রতিবাদ জানাচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস।’ আর জাস্টিসের জন্য যাঁরা অনুদান ফিরিয়ে দিচ্ছেন, তাঁদের পাল্টা মিছিল করছে তৃণমূল কংগ্রেস।’ কোন্নগর মাস্টারপাড়া দুর্গাপুজো কমিটির হিসাবরক্ষক স্বপন মুখোপাধ্যায়ের বক্তব্য, ‘চেয়ারম্যান হোয়াট্‌সঅ্যাপে যে মেসেজ করেছেন, সেটা পেয়েছি। যার মানে, যাঁরা অনুদান বয়কট করছেন, তাঁদের চাপে রাখা।’ আর কোন্নগর দেবপাড়া সর্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটির সম্পাদক সায়ন্তন মিত্র বলেছেন, ‘পুরসভার চেয়ারম্যানের বার্তা আমরাও পেয়েছি। আমাদের পুজোর আয়োজন খুবই ছোট। সরকারি অনুদান তাই আমাদের কাছে জরুরি।’‌
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)