• এবার ‘‌সিঙ্গুর বন্ধ্যা জমি পুর্নব্যবহার কমিটি’‌ নামছে আন্দোলনে, পাল্টা মন্ত্রী
    হিন্দুস্তান টাইমস | ২৭ আগস্ট ২০২৪
  • জমি আন্দোলন এখানে সরকার পরিবর্তনের টার্নিং পয়েন্ট হয়েছিল। সেই আন্দোলনে ছিল অধিকার রক্ষার লড়াই। অনেকের প্রাণ গিয়েছিল। তাপসী মালিককে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছিল। বহু রক্তপাতের মধ্যে দিয়ে অধিকার মিলেছিল। হ্যাঁ, সেটা সিঙ্গুর আন্দোলন। আজও সেটা প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠল। কারণ সেখানে আবার একটা আঁচ মিলছে জমি আন্দোলনের। এবার নেতৃত্বে ‘সিঙ্গুর বন্ধ্যা জমি পুর্নব্যবহার কমিটি’। এই কমিটির সদস্যদের দাবি, সিঙ্গুরের বেশিরভাগ জমি চাষযোগ্য করা হয়নি। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, সব জমি চাষযোগ্য করে দিক রাজ্য সরকার। যদি সেটা না হয় তাহলে সেখানে শিল্প হোক। আগামী ৩০ অগস্ট ক্যাম্প করে চাষিদের থেকে আবেদনপত্র সংগ্ৰহ করবে কমিটি। তবে কৃষি বিপণন মন্ত্রী বেচারাম মান্না জানান, ৯০ শতাংশ জমিই চাষযোগ্য করে দেওয়া হয়েছে।

    সিঙ্গুর আন্দোলন শুরু হয়েছিল ২০০৬ সালে। তখন সিঙ্গুরে টাটার গাড়ি কারখানার জন্য জমি অধিগ্রহণকে কেন্দ্র করে ঝড় উঠেছিল। নিজেদের জমি বাঁচাতে কৃষিজমি বাঁচাও আন্দোলন শুরু হয়। সিঙ্গুরের বেড়াবেড়ি, বাজেমেলিয়া, খাসেরভেড়ি, সিংহের ভেড়ি, গোপালনগর—পাঁচটি মৌজার হাজার হাজার কৃষক আন্দোলনে যুক্ত হয়ে জমি অধিগ্রহণের বিরোধিতা করেন। এই আন্দোলনের নেতৃত্বে ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ তিনি বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। কৃষকদের আন্দোলনে ফিরে যেতে বাধ্য হয় টাটাদের। ২০১৬ সালে সুপ্রিম কোর্ট সিঙ্গুরের জমি অধিগ্রহণ অবৈধ ঘোষণা করে। আর প্রায় ১০০০ একর জমি চাষযোগ্য করে তিন মাসের মধ্যে কৃষকদের ফিরিয়ে দিতে নির্দেশ দেয়।

    আর তা নিয়েই যত বেঁধেছে গোলমাল। এরপর সিঙ্গুরের জমি কৃষকদের ফিরিয়ে দেয় তৃণমূল কংগ্রেস সরকার। কিন্তু একদা জমি আন্দোলনের নেতা তথা ‘সিঙ্গুর বন্ধ্যা জমি পুর্নব্যবহার কমিটি’র অন্যতম সদস্য দুধকুমার ধাড়া বলেন, ‘প্রথম দাবি হচ্ছে জমির সীমানা নির্ধারণ করে তা কৃষকদের ফিরিয়ে দেওয়া, জল নিকাশি ব্যবস্থা উন্নত করা, মিউটেশন বা কনভারসেশনের অধিকার কৃষকদের দিতে হবে। আর যে জমিগুলিকে চাষযোগ্য করা যাবে না রাজ্য সরকার অথবা বেসরকারি উদ্যোগে সেখানে শিল্প স্থাপন হোক।’

    এই আন্দোলন গতি পাবে না বলে দাবি করেছেন মন্ত্রী। সিঙ্গুরের বিধায়ক তথা মন্ত্রী বেচারাম মান্নার বক্তব্য, ‘আন্দোলন করা তো মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার। যে কেউ তা করতে পারে। তবে এই আন্দোলনের কতটা যৌক্তিকতা আছে, মানুষের স্বার্থ আছে সেটা দেখা দরকার। সিঙ্গুরের মানুষ এসব শুনবে না। কারণ ৯০ শতাংশ জমি চাষযোগ্য হয়ে গিয়েছে।’ তবে যেটুকু জমি বাকি আছে চাষযোগ্য করতে তাও করার পরিকল্পনা রয়েছে রাজ্য সরকারের। মন্ত্রী ‘সিঙ্গুর বন্ধ্যা জমি পুর্নব্যবহার কমিটি’র সঙ্গে কথা বলে সমস্যা মেটাতে পারেন বলে সূত্রের খবর।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)