নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা বলয় মধ্য কলকাতা জুড়ে, কী পরিস্থিতি মহানগরের?
এই সময় | ২৭ আগস্ট ২০২৪
নবান্ন অভিযানকে কেন্দ্র করে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা কলকাতা শহর জুড়ে। পাশাপাশি, পরিবহণ ব্যবস্থা সচল রাখার জন্য মরিয়া প্রশাসন। ২৬ জন ডিসি (ডেপুটি কমিশনার) পদমর্যাদার আধিকারিকের সঙ্গে প্রায় ৬ হাজার পুলিশ কর্মী মোতায়েন রয়েছে। বেশ কিছু পরীক্ষা থাকার কারণে পরীক্ষার্থীদের যাতে কোনও অসুবিধা না হয়, সে ব্যাপরে খেয়াল রাখছে কলকাতা পুলিশ।কলকাতার ২৬ জন ডিসি (ডেপুটি কমিশনার) পদমর্যাদার আধিকারিকের সঙ্গে কলকাতা পুলিশের উচ্চ পদস্থ পুলিশ কর্তারা যোগাযোগ রাখছেন। শহরের মোট ১৯টি জায়গায় ব্যারিকেড করে রাখা আছে। এছাড়াও শহরে নজরদারির জন্য ড্রোনও ব্যবহার করা হচ্ছে। ড্রোনের সাহায্যে শহর জুড়ে নজরদারি রাখছে পুলিশ। পর্যাপ্ত পরিমাণে পুলিশ, টিয়ার গ্যাস পার্টি, র্যাফ উপস্থিত রাখা হচ্ছে।
সল্টলেক, নিউ টাউন, সাপুরজি, ই এম বাইপাস রুটে বাস চলাচল মোটের উপরে স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে। যাত্রীদের কলকাতা পৌঁছনোর জন্য ব্যান্ডেল এবং ডানকুনি স্টেশন থেকে শিয়ালদা পৌঁছনোর ট্রেন ধরতে পারবেন। অন্যদিকে, মেট্রো পরিষেবা সম্পূর্ণ স্বাভাবিক রাখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন রেল কর্তৃপক্ষ। উত্তর-দক্ষিণ মেট্রো সকাল থেকে নির্ধারিত সূচি মেনে দক্ষিণেশ্বর থেকে কবি সুভাষ লাইনে চলাচল করছে। কলকাতায় আন্দোলনকারীদের আটকাতে শহরের বিভিন্ন জায়গায় ক্রেনের মাধ্যমে কন্টেনার নামানোর ব্যবস্থা করে পুলিশ। কলেজ স্ট্রিট এবং এজেসি বোস রোডে কন্টেনার নামানো হয়। কন্টেনারের সামনে রাখা হয় ক্রেন।
এদিন রাত ১০টা পর্যন্ত পণ্যবাহী গাড়ি চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এছাড়াও জওহরলাল নেহরু রোড, রানি রাসমণি অ্যাভিনিউ, ডাফরিন রোড, মেয়ো রোড, আউট্রাম রোড, খিদিরপুর রোড, লাভার্স লেন, ক্যাসুরিনা অ্যাভিনিউতে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। সকালের দিকে হাওড়া সেতু এবং বিদ্যাসাগর সেতু দিয়ে সরকারি এবং বেসরকারি বাস চললেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাসের দেখা নেই। নিত্যযাত্রীদের অভিযোগ রয়েছে, বাস অনেকটাই কম চলছে। বাসের জন্য দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করে অনেকেই বিকল্প পথ ধরছেন। মেট্রো এবং ফেরি সার্ভিসের মাধ্যমে গন্তব্যস্থলে পৌঁছনোর চেষ্টা করছেন অনেকেই। অফিসযাত্রীদের অনেকেই সকালে বৃষ্টির মধ্যেই ছাতা মাথায় নিয়ে হেঁটে কর্মস্থলে যাওয়ার চেষ্টা করেন।