• নিরাপত্তায় সিআইএসএফ দাবি ইস্কোর হাসপাতালে
    এই সময় | ২৭ আগস্ট ২০২৪
  • এই সময়, আসানসোল: সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে গত বৃহস্পতিবার থেকে আরজি কর হাসপাতালে মোতায়েন করা হয়েছে আধা-সামরিক বাহিনী সিআইএসএফ (সেন্ট্রাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল সিকিউরিটি ফোর্স)। এ বার নিরাপত্তার জন্য সিআইএসএফ মোতায়েনের দাবি জানাল রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা ইস্কো স্টিল প্লান্টের বার্নপুর হাসপাতাল। একইসঙ্গে হাসপাতাল চত্বরে সিসিটিভি ক্যামেরার সংখ্যা বাড়ানোর কথাও বলা হয়েছে।বার্নপুরের ইস্কো কারখানার সামগ্রিক নিরাপত্তার দায়িত্বে সিআইএসএফ থাকলেও কারখানার হাসপাতালে যে কোনও প্রয়োজনে ডাক পড়ে রাজ্য পুলিশের। ২০০-র বেশি শয্যার এই হাসপাতাল দেখভালে বর্তমানে প্রতি শিফ্‌টে ৪ জন করে নিরাপত্তাকর্মী রয়েছেন। প্রতিদিন হাসপাতালে গড়ে ১৫০ জন রোগী ভর্তি থাকেন। জরুরি বিভাগ ও আউটডোরেও প্রচুর রোগী আসেন।

    হাসপাতালের কর্মীদের অভিযোগ, রোগীর তুলনায় নিরাপত্তাকর্মীর সংখ্যা অপ্রতুল। এক স্বাস্থ্যকর্মী জানান, রাতে অন্তত দু’জন চিকিৎসক ও ১৫-১৬ জন নার্সিং স্টাফ দায়িত্বে থাকেন। সঙ্গে মহিলা স্বাস্থ্যকর্মীরাও থাকেন। অথচ সে সময়ে নিরাপত্তাকর্মীর দেখা মেলে না। জরুরি বিভাগে রাতে দু’জন নিরাপত্তাকর্মী থাকলেও তা যথেষ্ট নয় বলেই মনে করেন হাসপাতালের কর্মীরা।

    হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, নিরাপত্তার বিষয়টি নিয়ে সম্প্রতি একটি উচ্চ স্তরের কমিটি তৈরি হয়েছি। সেই কমিটিই হাসপাতালে সিআইএসএফ নিয়োগ ও আরও ৫০টি জায়গায় সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানোর সুপারিশ করে। এ ছাড়া মহিলা চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের চাহিদা মতো আরও একাধিক বিষয় সুপারিশপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে কমিটির তরফে।

    ইতিমধ্যে ওই সুপারিশপত্র ইস্কোর ডিরেক্টরকে দেওয়া হয়েছে। ইস্কোর জনসংযোগ আধিকারিক ভাস্কর কুমার বলেন, ‘সুপারিশপত্র ইস্কোর সর্বোচ্চ আধিকারিকের কাছে পৌঁছোনোর পর তা সিআইএসএফ দপ্তরে পাঠানো হবে।’

    ইস্কোর আইএনটিইউসি-র অসংগঠিত শ্রমিক সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক অজয় রায়ের বক্তব্য, ‘হাসপাতালের দু’দিকে দুই গেটে ও ভিতরে যাঁরা নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকেন তাঁদের হাতে কোনও অস্ত্র থাকে না। আমরা এর আগেও হাসপাতালের প্রধান কর্তার কাছে সিআইএসএফ চেয়ে আবেদন জানিয়েছি।’
  • Link to this news (এই সময়)