মঙ্গলবার ওই ছাত্রী পড়তে যাচ্ছিলেন বালুরঘাট পুরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডে তার গৃহ শিক্ষকের কাছে। অভিযোগ, সেইসময় বালুরঘাট পুরসভার অস্থায়ী কর্মী বাপ্পা সরকার ওই কলেজ ছাত্রীর পথ আটকায় ও তার কাছ থেকে মোবাইল ফোন চায়। মোবাইল ফোন না দিতে চাইলে তাকে শারীরিক ভাবে হেনস্থা করা হয়।
ওই ঘটনার পর ছাত্রীটি কাঁদতে কাঁদতে গৃহশিক্ষকের কাছে গিয়ে পৌঁছালে তার সহপাঠিরা বেরিয়ে আসে। শুরু হয় অভিযুক্তের খোঁজ। শেষপর্যন্ত স্থানীয় একটি স্কুল থেকে বাপ্পাকে পাওয়া যায়। তাকে জিজ্ঞাসবাদ করাতেই সে প্রথম ঘটনার কথা অস্বীকার করলেও পরে সবকিছু স্বীকার করে নেয়। সে জানায় সে মেয়েটির গায়ে হাত দিয়েছে।
বালুরঘাটের মতো ছোট শহরে দিনের আলোয় পড়তে যাচ্ছে এক কলেজ ছাত্রী। প্রশ্ন উঠছে, এমন জেলা শহরেও মেয়েরা কি নিরাপদ নয়? ওই ঘটনার পর বালুরঘাট থানায় এসে অভিযোগ জানায় ওই ছাত্রীর পরিবার।
ঘটনার কথা জানতে পেরেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান স্থানীয় কাউন্সিলার বিপুল কান্তি ঘোষ। তিনি স্বীকার করে নেন এক ছাত্রীর শ্লীলতাহানির মতো ঘটনা ঘটেছে। অভিযুক্ত পুরসভার কর্মী নয়, অস্থায়ীভাবে কাজ করছিল। আইন অনুযায়ী যা ব্যবস্থা নেওয়ার তা পুলিস নেবে।