নবান্ন অভিযান LIVE UPDATE: কাল ১২ ঘণ্টার ধর্মঘট বিজেপির, ‘মানা হবে না’, একগুচ্ছ নির্দেশিকা নবান্নের
প্রতিদিন | ২৭ আগস্ট ২০২৪
আর জি কর হাসপাতালে কর্তব্যরত অবস্থায় তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ-খুনের সপ্তাহ তিনেক হতে চলল। সিবিআইয়ের হাতে তদন্তভার যাওয়ার পর থেকে এখনও পর্যন্ত কোনও অগ্রগতি দেখা যায়নি। দ্রুত বিচারপ্রক্রিয়া শেষে দোষীদের কঠোরতম শাস্তি দেওয়ার দাবি উঠছে সব মহলে। সেইসঙ্গে প্রশ্ন উঠছে প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও। বিচার চেয়ে এবং মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে আজ, মঙ্গলবার নবান্ন অভিযানের (Nabanna Abhijan)ডাক ‘পশ্চিমবঙ্গ ছাত্রসমাজ’ নামে তথাকথিত অরাজনৈতিক সংগঠনের। তবে তাদের নেপথ্যে বিজেপি-আরএসএস যোগ ইতিমধ্যেই স্পষ্ট। পুলিশের অনুমতি ছাড়া এই কর্মসূচির আড়ালে রাজ্যকে অশান্ত করার ছক রয়েছে বলে গোয়েন্দা সূত্রে খবর। তাই পুলিশ অশান্তি এড়াতে সর্বোচ্চ সতর্কতা গ্রহণ করে। ট্রাফিক সমস্যা এড়াতে বিশেষ পরিকল্পনা লালবাজারের। ছাত্রসমাজের নবান্ন অভিযানের খুঁটিনাটি সংবাদ প্রতিদিন ডট ইন লাইভে।
বিকেল ৫.১৬: নবান্ন অভিযান প্রসঙ্গে অধীর চৌধুরী বলেন, “ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়েছিল। রাজ্য প্রশাসন আরও ধৈর্যের পরিচয় দিক। যারা আন্দোলন করতে গিয়েছিলেন তাদের বলব শৃঙ্খলা মেনে অশান্তি না করে আন্দোলন করুন।”
বিকেল ৫.০৪: আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগ চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের।
বিকেল ৫.০১: সাংবাদিক বৈঠক করে মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, “আজকের আন্দোলনে সাধারণের যোগদান ছিল না। পুলিশ সংযত থেকে পরিস্থিতি সামাল দিয়েছে। কেন ধর্মঘটের ডাক মানুষ বুঝেছে। ধর্মঘটের ডাকে অর্থনীতিকে আঘাত করা হচ্ছে।” রেল কর্তৃপক্ষের কাছে তাঁর আরও অনুরোধ, “ধর্মঘটে সাহায্য করবেন না।”
বিকেল ৪.৩৬: আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, “ছাত্রদের প্রতি পূর্ণ সমবেদনা আছে। যে মর্মান্তিক অপরাধ হয়েছে তার সুবিচার সকলেই আছি। এখন তদন্তভার সিবিআইয়ের কাছে। সুবিচার চাওয়ার অধিকার সকলের আছে। আজ মহানগরী তথা বাংলাকে স্তব্ধ ও অচল করার যে প্রয়াস হচ্ছে, তা অসমর্থনযোগ্য। শারদোৎসবের বেচাকেনা শুরু হয়ে গিয়েছে। শিক্ষা ও স্বাস্থ্য-সহ সকল জনক্ষেত্র বিপন্ন। আগামিকালের প্রস্তাবিত ধর্মঘটকে মেনে নেওয়া হবে না। তাই অংশ নেবেন না। সব কিছু চালু থাকবে। অফিস-কাছারিতে আসতে হবে সরকারি কর্মীদের। দোকানপাট খুলে রাখবেন। যানবাহন স্বাভাবিক রাখতে হবে। বেসরকারি বাস, মিনিবাস মালিকদের প্রতিও একই অনুজ্ঞা। বাংলাকে সর্বতভাবে সচল রাখতে হবে।”
বিকেল ৪.৩৩: প্রিন্সেপ ঘাটে পুলিশের গাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর আন্দোলনকারীদের।
বিকেল ৪.২৭: নবান্ন অভিযানে ধৃতদের ছাড়াতে সুকান্ত মজুমদারের নেতৃত্বে লালবাজারের পথে বিজেপি।
দুপুর ৩.৫৪: পুলিশের ভূমিকার প্রশংসা করে কুণাল ঘোষ বলেন, “নবান্ন অভিযান নয়, সমাজবিরোধীদের অভিযান। এখন জাস্টিস নয়, চেয়ার চাই। বিজেপির মুখোশ খুলে গিয়েছে। বিজেপির কিছু গুন্ডা অরাজকতা করেছে। এর মধ্যে অনেক বাংলা বিরোধী অপশক্তি আছে। একটা বড় প্লট। পুলিশ সমস্ত আক্রমণের মুখে পড়ে, রক্তাক্ত হয়েও, গোটা পুলিশবাহিনী সংযমের পরিচয় দিয়েছে। উত্তেজিত জনতাকে হঠাতে যা করার তাই করেছে।” বিজেপির ডাকা ধর্মঘটের বিরোধিতায় তিনি বলেন, “আগামিকাল কোনও বন্ধ হবে না। মানুষ বাংলা বন্ধের ডাক ব্যর্থ করুন। চক্রান্ত ভেস্তে গিয়েছে বলে ধর্মঘটের ডাক। জনজীবন স্বাভাবিক রাখুন। এটা বাংলার বিরুদ্ধে চক্রান্ত।”
দুপুর ৩.৪৪: বুধবার রাজ্যে ১২ ঘণ্টার ধর্মঘটের ডাক সুকান্ত মজুমদারের।
দুপুর ৩.৪০: সুকান্ত মজুমদার আরও বলেন, “বৃহস্পতিবার থেকে ধর্মতলায় ধরনা। নবান্ন অভিযানে আক্রান্তদের আইনি বা চিকিৎসা ক্ষেত্রে সহায়তা করা হবে। চালু করা হয়েছে হেল্পলাইন ঘেরাও। ৩০ আগস্ট রাজ্য মহিলা কমিশন ঘেরাও। ২ সেপ্টেম্বর জেলাশাসকের দপ্তরে দিনভর ধরনা। ৬ সেপ্টেম্বর ১২টা থেকে ২টো পর্যন্ত দুঘণ্টার চাক্কা জ্যাম।”
দুপুর ৩.৩৬: নবান্ন অভিযানে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে সমালোচনায় সরব বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন, “শান্তিপূর্ণ মিছিলে কেন পুলিশ লাঠিচার্জ করল? কাঁদানে গ্যাস ছুঁড়ল? আন্দোলনকারীদের লক্ষ্য করে কেমিক্যাল স্প্রে করা হয়। বাংলার ছাত্র সমাজকে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী রক্তস্নান করাতে চাইছে। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী আর পারবেন না আটকাতে। বাংলার মানুষের জবাব দেওয়ার সময় এসেছে।” দুপুর ৩.৩০: প্রিন্সেপ ঘাটে পুলিশ কিয়স্কে হামলা আন্দোলনকারীদের।
দুপুর ৩.২৮: চ্যাটার্জিহাটে ফের নতুন করে উত্তেজনা। পুলিশ ও আন্দোলনকারীদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি।
দুপুর ৩.১৫: নবান্নের ১০০ মিটার দূরে পৌঁছল মিছিল। হঠিয়ে দেয় পুলিশ।
দুপুর ৩.০৭: বেলা বাড়তেই বাড়ছে বিক্ষোভের ঝাঁজ। নবান্ন অভিযানে শামিল কামদুনির টুম্পা কয়ালও। এম জি রোড থেকে আটক করা হয় তাঁকে।
দুপুর ২.৩৬: সুবিচারের দাবিতে আন্দোলন নয়, অশান্তি করার ছক। X হ্যান্ডলে পোস্ট করে ফের অভিযোগ তৃণমূলের।
দুপুর ২.২৪: আন্দোলনকারীদের পাশাপাশি সংবাদমাধ্যমের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন কুণাল ঘোষ।
দুপুর ২.২০: নবান্ন অভিযানে শামিল হল সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। পোস্টার, ব্যানার হাতে হাওড়া স্টেশন থেকে বিশাল মিছিল সদস্যদের। নেতৃত্বে আহ্বায়ক ভাস্কর ঘোষ।
দুপুর ২.১৩: এজেসি বোস রোডের কাছে বড় মিছিল, জমায়েত। তৈরি পুলিশও।
দুপুর ২.০৫: দক্ষিণ কলকাতার টার্ফ ভিউ রোডে জমায়েত। পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করতেই পুলিশ ছুড়ল জলকামান। চলছে লাঠিচার্জ, টিয়ার গ্যাস।
দুপুর ১.৫৪: আক্রান্ত হাওড়ার চণ্ডীতলার আইসি। তাঁর মাথা ফাটল।
দুপুর ১২.৪২: কলেজ স্কোয়ারের মিছিলে নেতৃত্ব দিচ্ছেন অর্জুন সিং।
দুপুর ১২.৩৩: ‘পশ্চিমবঙ্গ ছাত্রসমাজে’র ডাকে নবান্ন অভিযানে ছাত্র কই? জমায়েতের ছবি দেখে প্রশ্ন আমজনতার। এমজি রোড থেকে শ পাঁচেক লোক নিয়ে মিছিলের পুরোভাগে বিজেপি কর্মী, সমর্থকরাই। একশো, দুশো, পাঁচশো লোক নিয়ে ভাগে ভাগে মিছিল। কোনও নিয়ন্ত্রণ নেই।
দুপুর ১২.২০: ছাত্রসমাজের নবান্ন অভিযানে নয়, শুভেন্দু অধিকারী গেলেন বিধানসভায়। সেখান থেকে হুমকি, ছাত্রদের মারধর করা হলে রাস্তায় অবস্থান করবে বিজেপি।
বেলা ১১.৫২: বর্ধমান থেকে দলীয় পতাকা, লাঠি হাতে ট্রেনে কলকাতামুখী বিজেপি কর্মীরা। হাতে লাঠি দেখে আটকাল পুলিশ। ট্রেনের ভিতরেই পুলিশের সঙ্গে কথা কাটাকাটি।
বেলা ১১.৪৪: কলেজ স্কোয়ার প্রায় পুলিশের দখলে। জাতীয় পতাকা হাতে বিজেপির রাজ্য দপ্তরে জমায়েত বিজেপি কর্মীদের। পতাকা ছাড়া সমর্থকদের নিয়ে কলেজ স্কোয়ারে বিজেপি নেতা সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায়। কলেজ স্কোয়ার এ মাইকে ঘোষণা করা হচ্ছে, শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করুন। আইন নিজের হাতে তুলে নেবেন না।
বেলা ১১.২৫: বড়সড় অশান্তি বাঁধানোর ছক ছিল, আশঙ্কায় গ্রেপ্তার চার ছাত্র। সোশাল মিডিয়া পোস্টে জানাল রাজ্য পুলিশ।
বেলা ১১.০৫: সাঁতরাগাছি থেকেই জমায়েতে বাধা পুলিশের। সেখানে দাঁড়িয়ে স্লোগান তুললেন অংশগ্রহণকারীরা।
সকাল ১০.০৯: নবান্নে আসার পথে মেদিনীপুরের বিজেপি জেলা সভাপতিকে আটক করল পুলিশ।
সকাল ৯.৫৪: শিয়ালদহ-সিউড়ি মেমু ট্রেনে মঙ্গলবার সকালে কলকাতার উদ্দেশে সিউড়ি রেল স্টেশন থেকে রওনা ছাত্রদের।
সকাল ৯.২৬: কলকাতায় আসার পথে হাওড়া থেকে নিখোঁজ চার ছাত্র! X হ্যান্ডলে নাম-সহ পোস্ট শুভেন্দুর। অভিযোগ, ‘মমতার পুলিশ’ তাঁদের গ্রেপ্তার করেছে।
সকাল ৯.১১: নবান্ন অভিযানে শামিল হতে দক্ষিণ ২৪ পরগনার সাগর (Gangasagar) থেকে নদীপথে রওনা দিলেন কয়েকশো ছাত্র-ছাত্রী। সঙ্গে অভিভাবকরাও। ঝড়বৃষ্টি উপেক্ষা করেই কলকাতামুখী তাঁরা।
সকাল ৯.০৫: সকাল থেকে শহরের পথে কড়া নিরাপত্তা। ত্রিস্তরীয় বলয়ে ঘিরল রাজ্যের মূল প্রশাসনিক ভবন নবান্ন (Nabanna)। কর্মীদের প্রবেশেও চলছে খুঁটিনাটি পরীক্ষা। ১৯ টি জায়গায় বসল ব্যারিকেড।
সকাল ৮.৫২: বিভিন্ন জেলা থেকে বাসে, ট্রেনে নবান্নমুখী ছাত্রছাত্রীরা। সকাল থেকে পথেঘাটে ভিড়।
সকাল ৮.২৩: ছাত্রসমাজের নবান্ন অভিযানের আগে সোশাল মিডিয়ায় বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর ভিডিও বার্তা, ‘বিজয়ী ভব’।
সকাল ৭.২০: মাঝরাতে নবান্নের কাছে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের সদস্যরা। তাঁরাও এদিন পৃথকভাবে নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছেন। তবে নবান্নের সামনে জড়ো হতেই নিরাপত্তার স্বার্থে পুলিশ তাঁদের সরিয়ে দেয়।