• ছাদ থেকে পাথর ছুঁড়েছে তৃণমূল, দোষ পড়েছে ছাত্র সমাজের ঘাড়ে, দাবি আন্দোলকারীদের
    হিন্দুস্তান টাইমস | ২৭ আগস্ট ২০২৪
  • দফায় দফায় অশান্তি। দুপুরের পর থেকেই তপ্ত নবান্নগামী রাজপথ। পুলিশের একাধিক ব্যারিকেড ভেঙে ফেলে জনতা। পুলিশ টিয়ার গ্যাসের সেল ফাটায়। জল কামান দিয়ে পুলিশ জনতাকে ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করে। তবে ছাত্র সমাজের ডাকা এই আন্দোলন শেষ পর্যন্ত কতটা প্রভাব ফেলবে সেটাই এখন দেখার। তবে এদিন আন্দোলনকারীরা সরাসরি অভিযোগ করেন যে তৃণমূলের লোকজন ছাদ থেকে পাথর ছুঁড়েছে। এরপর তাদের ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে দিয়েছে। তারা শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন চালিয়ে গিয়েছেন। তবে তৃণমূল এসব অভিযোগ মানতে চায়নি। 

    যৌথ সংগ্রামী মঞ্চের নেতৃত্ব জানিয়েছেন, আমরা শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করছিলাম। পুলিশ আমাদের উপর লাঠিচার্জ করেছিল। যা করেছে পুলিশ তাদের লোক দিয়ে করেছে। টিয়ার গ্যাস মেরেছে। আমরা আহত হয়েছে। ছাদ থেকে ইঁট মারিয়েছে। 

    অপর এক মহিলা আন্দোলনকারী বলেন, আমাদের আন্দোলন ছিল শান্তিপূর্ণ। ওপর থেকে তৃণমূলের লোকজন আমাদের উপর পাথর ছুঁড়েছে। আর দোষ দিয়েছে আমরা নাকি  করেছি। আমাদের উপর কাঁদানে গ্যাস চার্জ করে, লাঠি চালিয়ে তুলে দিয়েছে। এরকর পুলিশ  এমন মুখ্য়মন্ত্রীকে জানাই ধিক্কার। 

    এদিকে এদিন শুধু ছাত্র সমাজের প্রতিনিধিরাই নন, যৌথ সংগ্রামী মঞ্চের প্রতিনিধিরাও ছিলেন আন্দোলনে। তারা বার বার দাবি তুলেছেন যে তাদের উপর পুলিশ অত্যাচার করেছে। এদিকে ছাত্র সমাজের প্রতিনিধিরাও জানান পুলিশের সঙ্গে কয়েকজন হাফ প্যান্ট পরা লোকজন ছিল। তাদের দিয়ে অশান্তি পাকানো হয়েছে। তারা কারা সেটা জানা দরকার। 

    এদিকে পালটা পুলিশের তরফে দাবি করা হয়েছে আন্দোলনকারীরা অশান্তি পাকানোর জন্য সবরকম চেষ্টা করেছে। তার অকাট্য প্রমাণ পুলিশের কাছে রয়েছে বলেও দাবি করা হয়েছ। সব মিলিয়ে কারা সত্যি বলছে, কারা মিথ্যে বলছে তা নিয়ে একটা প্রশ্ন তো থেকেই গিয়েছে। 

    তবে সোমবারই বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজমুদার দাবি করেছিলেন তৃণমূল ছাত্র সমাজের মধ্য়ে লোক ঢুকিয়ে আন্দোলনকে বানচাল করার চেষ্টা করছে। এবার সেই আশঙ্কাটাই কি সত্যি হল? 

    এদিকে এদিন একাধিক ক্ষেত্রে দেখা যায় যে পুলিশের দিকে তেড়ে যাচ্ছে আন্দোলনে আসা লোকজন। আবার আন্দোলনকারীদের একাংশ তাদের এই ধরনের আচরণ করতে বারণ করছেন। 

    এদিকে এদিন বিরোধীরা তীব্র আক্রমণ করছে রাজ্য সরকারকে।ফেসবুকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম না করে প্রশ্ন ছুড়ে দিলেন রুদ্রনীল ঘোষ।

    আবার বৃহস্পতিবার কলেজ স্কোয়্যার থেকে শ্যামবাজার পর্যন্ত মিছিল করার ডাক দিয়েছে কংগ্রেস। অধীর চৌধুরী জানিয়েছেন, সঠিক তদন্ত এবং বিচারের দাবিতে কংগ্রেস মিছিল করবে। সেই মিছিলের অনুমতি চেয়েই কলকাতা হাইকোর্টে আবেদন জানিয়েছেন কংগ্রেস নেতা। আগামীকাল বুধবার বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের সিঙ্গেল বেঞ্চে এই মামলার শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে।

    যদিও আগেই আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে কলকাতায় মিছিল করার কথা ঘোষণা করেছিলেন অধীর চৌধুরী। সাধারণত মিছিলের জন্য পুলিশের অনুমতি লাগে। তবে বিরোধীদের অভিযোগ, পুলিশ তাদের অনুমতি দিতে চায়না। সেই অভিযোগ তুলেই কলকাতা হাইকোর্টের দারস্ত হয়েছে কংগ্রেস। অন্যদিকে, শ্যামবাজারের পর এবার ধর্মতলায় ধর্নায় বসতে চায় বিজেপি। তা নিয়ে গেরুয়া শিবির কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)