• নবান্ন অভিযানে যোগ কামদুনির টুম্পাও, সাঁতরাগাছিতে নতুন করে শুরু জমায়েত
    হিন্দুস্তান টাইমস | ২৭ আগস্ট ২০২৪
  • এক দফা এক দাবি…মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগের দাবিতে মঙ্গলবার নবান্ন অভিযানের ডাক দেওয়া হয়েছিল। আর সেই নবান্ন অভিযানে দিনভর দফায় দফায় উত্তপ্ত হল কলকাতার রাজপথ। নবান্ন অভিযানে সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি থেকে প্রতিনিধিরা শামিল হয়েছিলেন। বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রতিবাদকারীরাও এদিন এই আন্দোলনে শামিল হয়েছিলেন। নবান্ন অভিযানে এদিন কামদুনির বধূ তথা বাংলার প্রতিবাদের পরিচিত মুখ টুম্পা কয়ালকে দেখা যায়। তবে এমজি রোড থেকে আটক করা হয় তাঁকে। 

    এদিকে তৃণমূলের তরফ থেকে দাবি করা হয়েছে, এতে কোনও ভুল করবেন না। এটা ন্যায় বিচারের জন্য প্রতিবাদ আন্দোলন নয়। এটা বিজেপির তৈরি করা অশান্তি। ভাড়া করা গুন্ডাদের নিয়ে আসা হয়েছিল। তারা ব্যারিকেড ভেঙেছে। তারা অন ডিউটি পুলিশ আধিকারিকদের উপর চড়াও হয়েছিল। 

    তবে সূত্রের খবর, এদিন আন্দোলনের যে তীব্রতা দেখা গিয়েছে তা তৃণমূলের তাবড় নেতার ঘুম উড়িয়ে দেওয়ার পক্ষে যথেষ্ট। কোনও পতাকার তলায় নয়। কেবলমাত্র জাতীয় পতাকা নিয়ে দলে দলে মানুষ এই আন্দোলনে শামিল হয়েছিলেন। কোথাও বিশেষ কোনও রাজনৈতিক দলের পতাকা দেখা যায়নি। 

    কিছুক্ষেত্রে পাথর ছোঁড়া, পুলিশকে তাড়া করা, মারধর করার মতো ঘটনা ঘটেছে। তবে এদিন যে সংখ্যক আন্দোলনকারীরা জড়ো হয়েছিলেন তাতে আরও বড় কিছু ঘটে যেতে পারত। তবে একাধিক ক্ষেত্রে আন্দোলনের নেতৃত্ব পাথর না ছোঁড়ার জন্য আবেদন করেন। 

    এদিকে বিকালে ফের সাঁতরাগাছিতে বসে পড়েন আন্দোলনকারীরা। তাদের দাবি, তাদের নবান্নে যেতে দিতে হবে। এদিকে পুলিশ গোটা এলাকা ঘিরে রেখেছে। পুলিশ বার বার অনুরোধ করছে তারা যেন সেখান থেকে উঠে যান। তবে আন্দোলনকারীরা তাদের দাবিতে অনড়। তাদের দাবি আমাদের উপর লাঠিচার্জ করা হয়েছে। 

    এদিকে এদিন দুপুর ১টা নাগাদ এই সাঁতরাগাছিতেই ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করা হয়েছিল। সেই সময় জল কামান দিয়ে কোনওরকমে পরিস্থিতি মোকাবিলার চেষ্টা করা হয়েছিল। তবে ফের বিকাল থেকে সেখানেই শুরু হয়েছে জমায়েত। জমায়েতের বহর দেখে নতুন করে পুলিশের সংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে। 

    এদিকে বুধবার ১২ ঘণ্টার বাংলা বনধের ডাক দিয়েছে বিজেপি। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘শান্তিপূর্ণ মিছিলের ওপরে কেন পুলিশ লাঠি চালাল? কেন কাঁদানে গ্যাস ছুড়ল? এমনকী মহিলা, বয়স্করাও ছাড় পায়নি। কোথাও পুলিশ লাঠি চালানোর আগে কেউ পাথর ছোড়েনি। কেমিক্যাল মেশানো জল স্প্রে করা হয়েছে এরকম অভিযোগও আমরা ছাত্রদের কাছ থেকে পাচ্ছি। এটা কী ধরণের আচরণ? বেকার যুবক – যুবতীরা কি বাংলায় জন্ম নিয়ে কোনও ভুল করেছেন? যে মুখ্যমন্ত্রীকে ক্ষমতায় থাকতে এত দমন পীড়ন করতে হয় তার আর ক্ষমতায় থাকার অধিকার নেই। বাংলার মানুষকে জবাব দেওয়ার সময় এসেছে। বাংলার গণতন্ত্র, স্বাধীনতা, সুরক্ষা সমস্ত কিছু বিপন্ন।’
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)