• ‘হেলিকপ্টার রেডি, পালানোর প্রস্তুতি চলছে শুনলাম’, নবান্ন অভিযানের মধ্যে বড় কথা
    হিন্দুস্তান টাইমস | ২৭ আগস্ট ২০২৪
  • 'হেলিকপ্টার রেডি আছে, পালানোর প্রস্তুতি চলছে শুনলাম'- নবান্ন অভিযানের মধ্যে এমনই মন্তব্য করলেন বিজেপি নেতা কৌস্তভ বাগচী। ওই দুটি লাইন নিয়ে তিনি বিস্তারিত কোনও ব্যাখ্যা না দিলেও সংশ্লিষ্ট মহলের ধারণা, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ইঙ্গিত করেই সেই মন্তব্য করেছেন বিজেপি নেতা। আজ থেকে ঠিক ২২ দিন আগে যে ঘটনা ঘটেছিল, সেটার রেশ ধরেই খোঁচা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রীকে। গত ৫ অগস্ট আন্দোলনের মধ্যেই বাংলাদেশ ছেড়ে ভারতে চলে এসেছিলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যে ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গিয়েছিল। নিজের বাসভবন থেকে হেলিকপ্টারে চেপে বাংলাদেশ ছেড়েছিলেন তিনি। যাঁর ইস্তফার দাবিতে রাস্তায় নেমেছিল বাংলাদেশের একাংশ। আর আজ পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতার ইস্তফার দাবিতে পথে নেমেছে ‘পশ্চিমবঙ্গের ছাত্র সমাজ’। সামিল হয়েছে নবান্ন অভিযানে। কয়েকটি জায়গায় পুলিশ এবং আন্দোলনকারীদের মধ্যে ধুন্ধুমার বেঁধেছে। 

    যদিও নবান্ন অভিযানে রাস্তায় যাঁদের দেখা গিয়েছে, তাঁদের কতজন আসলে ‘ছাত্র’, তা নিয়ে ধন্দ আছে। কাউকে-কাউকে দেখে তো ‘ছাত্রদের’ দ্বিগুণ বয়সি মনে হয়েছে। আর সেটার প্রেক্ষিতেই রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস সরাসরি অভিযোগ করেছে যে ‘পশ্চিমবঙ্গের ছাত্র সমাজ’-র মুখোশ ব্যবহার করে রাজনীতি করার চেষ্টা করেছিল বিজেপি। আজ সেই মুখোশটা খুলে গিয়েছে।


    তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ দাবি করেছেন যে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাথর ছোড়া হয়েছে। পুলিশ মোটেও প্রথমে 'অ্যাকশন' নেয়নি। প্রাথমিকভাবে ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করা হয়েছে। পুলিশের দিকে ছোড়া হয়েছে ইট-পাথর। সেই অবস্থায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য যৎসামান্য যেটুকু পদক্ষেপ করা দরকার, সেটাই করেছে। লাগাতার প্ররোচনার মুখেও সংযম হারিয়ে ফেলেনি। চালায়নি গুলি। পুলিশ নিজের রক্ত গায়ে মেখেও সংযমী ভূমিকা পালন করেছে।


    সেইসঙ্গে তৃণমূল নেতা দাবি করেছেন, নবান্ন অভিযানের মাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গে অরাজকতা তৈরি করার চেষ্টা করা হয়েছে। এতদিন মুখোশের আড়ালে নবান্ন অভিযানে মদত দিচ্ছিল বিজেপি। আজ সেই মুখোশটাও খুলে গিয়েছে। আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় জাস্টিস ভুলে বিজেপির এখন চেয়ারের পিছনে ছুটছে বলে দাবি করেন তৃণমূল নেতা।

    আরও পড়ুন: RG Kar Hospital Junior Doctor Handwriting: ‘হাতের লেখা এতই ভালো ছিল যে মজা করতাম, বলতাম যে ডাক্তারদের মতো হচ্ছে না’
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)