• রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদের দাবি, সিবিআই অধিকর্তাকে চিঠি সাংসদ অভিজিতের
    হিন্দুস্তান টাইমস | ২৭ আগস্ট ২০২৪
  • আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুন করা হয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে নানা আন্দোলন এখন শুরু হয়েছে রাজ্যজুড়ে। তার প্রেক্ষিতে এবার রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামছে ছাত্র সমাজ। আজ, মঙ্গলবার তাদের নবান্ন অভিযান রয়েছে। এই আবহে আরজি কর হাসপাতালের ঘটনায় সিবিআইকে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় চিঠি লিখলেন। এখন তিনি বিজেপির সাংসদ। তথ্য প্রমাণ লোপাটের অভিযোগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসাবাদের দাবি তুলেছেন তিনি। এই দাবি তুলে সিবিআই অধিকর্তাকে চিঠি দিলেন বিজেপি সাংসদ। এই ঘটনার পর তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছিল, এখনও তিনি কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি থাকলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে গ্রেফতারের রায় দিতেন।

    ‘পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ’–এর ব্যানারে আজ, মঙ্গলবার নবান্ন অভিযানকে ‘রক্তক্ষয়ী’ করার চক্রান্তের হদিশ পেয়েছে পুলিশ। ‘বডি না পড়লে’ আন্দোলনের ঝাঁঝ বাড়ানো যাবে না—ঘাটালের তিন বিজেপি নেতার কথার ভাইরাল ভিডিয়ো সামনে এসেছে। ওই চিঠিতে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় লিখেছেন, ‘‌মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেমন একদিকে মুখ্যমন্ত্রী তেমনই তিনি পুলিশমন্ত্রী ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী। তাই এই ঘটনার ক্ষেত্রে পুলিশ তাঁর নির্দেশ ছাড়া কোনও কাজ করতে পারে না। দ্বিতীয় ময়নাতদন্ত এড়ানোর জন্যই তড়িঘড়ি করে নির্যাতিতার দেহের অন্তিম সংস্কার সেরে ফেলা হয়। দেহদাহ না হলে দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্ত করার সুযোগ থাকত। তথ্যপ্রমাণ পাওয়ার সুযোগ থাকত।’‌

    ইতিমধ্যেই তিন বিজেপি নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘাটালের বিজেপি নেতা সৌমেন চট্টোপাধ্যায়, বাবলু গঙ্গোপাধ্যায় এবং চন্দ্রকোনার মণ্ডল বিজেপি সভাপতি বিপ্লব মালকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘‌রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা অস্বাস্থ্যকর ও ঘূণ ধরে গিয়েছে। শুধু আরজি কর হাসপাতাল নয়, রাজ্যের অন্য মেডিক্যাল কলেজগুলিতেও দুর্নীতি চলছে। কিছু প্রভাবশালী চিকিৎসকও এসবের সঙ্গে যুক্ত। নির্যাতিতা মহিলা চিকিৎসক আগেই দেবাশিস সোমের নাম নিয়েছিলেন। তরুণীকে ধর্ষণ করে খুন করার পর মৃতদেহ নিয়ে বৈঠকেও করেন দেবাশিস উপস্থিত ছিলেন। এই দেবাশিস আসলে সন্দীপের উপদেষ্টা।’‌

    আজ আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসকের নৃশংস হত্যাকাণ্ডে ছাত্র সমাজের ডাকে নবান্ন অভিযানের ডাক দেওয়া হয়েছে। তার আগেই হাওড়া ব্রিজে পুলিশের প্রস্তুতি তুঙ্গে উঠেছে। এই আবহে রাজ্যের সব জায়গা থেকে আনা হয়েছে পুলিশ। সুকান্তের কথায়, ‘‌আমরা দেখতে চাই কবে সিবিআই বাংলার স্বাস্থ্যমন্ত্রীর বাড়িতে ঢুকে এভাবে তল্লাশি চালাবে। ওঁর বাড়িতেও সিবিআই যাক, বাজেয়াপ্ত করা হোক ওঁর ফোন। স্বাস্থ্যসচিব স্বরূপ নিগম, কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল, দুই মাথা, আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রাজীব কুমারের ফোন নিয়েও তদন্ত হোক। এঁরা নাটের গুরু।’‌
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)