আরজি করের চিকিৎসককে ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনার প্রতিবাদে প্রায় রোজই কোথাও না কোথাও মিছিল, বিক্ষোভ কর্মসূচি চলছে। আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদে পথে নামতে চান কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী। কলকাতার রাস্তায় মিছিল করার কথা আগেই ঘোষণা করেছিলেন তিনি। এ বার মিছিলের অনুমতি চেয়ে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হলেন অধীর। অন্য দিকে, ধর্মতলায় ধর্না-অবস্থান করতে চেয়ে বিজেপির পক্ষ থেকেও হাই কোর্টে আবেদন জানানো হয়েছে। দু’টি মামলাই দায়ের করার অনুমতি দিয়েছেন বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজ। বুধবার মামলার শুনানির সম্ভাবনা।
আগামী ২৯ অগস্ট, বৃহস্পতিবার কলেজ স্কোয়্যার থেকে শ্যামবাজার পর্যন্ত মিছিল করার ডাক দেন অধীর। তিনি জানিয়েছেন, আরজি কর-কাণ্ডের সঠিক তদন্ত এবং সুবিচারের দাবিতেই এই মিছিল করবে কংগ্রেস। সেই মিছিলের অনুমতি চেয়ে হাই কোর্টে মামলা করেন অধীর। বিচারপতি ভরদ্বাজের সিঙ্গল বেঞ্চে আবেদন করেন তিনি। বুধবারই মামলার শুনানির সম্ভাবনা।
অন্য দিকে, রবিবার শ্যামবাজারে পাঁচ দিনের ধর্নার শেষ দিনে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ঘোষণা করেছিলেন, বুধবার থেকে আবার ধর্নায় বসবে দল। এ বার স্থান হিসাবে বাছা হয়েছে ধর্মতলাকে। পুলিশের অনুমতি না মিললে আদালতে যাওয়ার হুঁশিয়ারিও শুনিয়ে রেখেছিলেন সুকান্ত। মঙ্গলবার দেখা গেল সেই মতোই কলকাতা হাই কোর্টে ধর্নার অনুমতি চেয়ে মামলা করল বিজেপি। উল্লেখ্য, হাই কোর্টের অনুমতি নিয়ে শ্যামবাজারে পাঁচ দিনের ধর্না কর্মসূচি করেছিল বিজেপি।
আরজি করের ঘটনা নিয়ে প্রতিবাদে সরব হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। মঙ্গলবার নবান্নের অভিযানের ডাক দিয়েছে ‘পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ’। রাজনৈতিক দলগুলোও নিজের মতো করে প্রতিবাদ কর্মসূচি করছে। সুপ্রিম কোর্ট আগেই জানিয়েছে, শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদকে কোনও ভাবেই আটকানো যাবে না। এমনকি, আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া যাবে না বলে জানিয়েছিলেন প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। তবে আদালত মনে করিয়ে দিয়েছিল, প্রয়োজনে রাজ্য সরকার অবশ্যই আইনি পদক্ষেপ করতে পারবে। তবে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদকে কখনই আটকানো যাবে না।