‘শান্তিপূর্ণ’ আন্দোলনে অশান্তির ছক? সমাজমাধ্যমে ছবি দিয়ে সন্ধান চাইল পুলিশ
এই সময় | ২৮ আগস্ট ২০২৪
আরজি করের হামলার ঘটনায় ছবি দিয়ে দোষীদের চিহ্নিত করার জন্য সমাজমাধ্যমে সাহায্য চেয়েছিল কলকাতা পুলিশ। নবান্ন অভিযানের সময় পুলিশের উপর হামলাকারীদের ছবি দিয়ে সমাজমাধ্যমে পোস্ট করা হল। পুলিশের উপর ইটবৃষ্টি, আক্রমণ করার বেশ কিছু ছবি দেওয়া হল সমাজমাধ্যমে।সমাজমাধ্যমে ছবিগুলি শেয়ার করে লেখা হয়েছে, ‘নীচের ছবিতে যাদের চেহারা চিহ্নিত করা হয়েছে তাদের সন্ধান জানা থাকলে অনুরোধ, জানান আমাদের, সরাসরি বা আপনার সংশ্লিষ্ট থানার মাধ্যমে।’ কলকাতা পুলিশ সূত্রে খবর, পুলিশের উপর আক্রমণের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ১০০ জনকে আটক করা হয়েছে। পুলিশের তরফে মোট ১০টি ‘সুয়োমোটো’ মামলা রুজু করা হয়েছে। এর মধ্যে আলিপুর, ময়দান, হেয়ার স্ট্রিট, মুচিপাড়া, আমহার্স্ট স্ট্রিট, বড়বাজার, নর্থ পোর্ট থানা, জোড়াসাঁকো থানা এবং হেস্টিংস থানায় দুটি মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। কলকাতা পুলিশের অধীনে মোট ২৫ জন পুলিশ কর্মী আহত হয়েছেন। এর মধ্যে বেশ কয়েকজন গুরুতর আহত হয়েছেন বলেও জানানো হয়েছে কলকাতা পুলিশের তরফে।
কলকাতা পুলিশের তরফে যে ছবিগুলি শেয়ার করা হয়েছে, সেখানে দেখা যাচ্ছে বেশ কিছু আক্রমণাত্মক আন্দোলনকারী রাস্তা থেকে ইট কুড়িয়ে পুলিশের ব্যারিকেডের দিকে ছুড়ছেন। এমনকী, কয়েকজন হাতে লাঠি নিয়ে তেড়েও যাচ্ছেন। পুলিশ কর্মীদের উপর আক্রমণের ছবিও ধরা পড়েছে। আক্রমণকারীদের চিহ্নিত করতে পারলে সংশ্লিষ্ট থানায় যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।
নবান্ন অভিযানের পরেই দক্ষিণবঙ্গ এডিজি সুপ্রতিম সরকার আগেই বলেছেন, ‘সাধারণ মানুষের আবেগকে কাজে লাগিয়ে প্ররোচনা দেওয়া হবে, যাতে পুলিশ বলপ্রয়োগ করতে বাধ্য হয়। এদিন আমাদের সেই আশঙ্কা অনেকটাই সত্যি হয়েছে।’ এটা কোনওভাবেই ছাত্রদের আন্দোলন ছিল না, বরঞ্চ এটা ‘দুষ্কৃতী’দের আন্দোলন ছিল বলেই জানিয়েছেন তিনি। এই আন্দোলনের পেছনে কোনও 'বড় শক্তি'র হাত রয়েছে বলেও ইঙ্গিত দেন তিনি।
এদিন মিছিল শুরু হওয়ার পর থেকেই বেশ কিছু জায়গায় অশান্তির সৃষ্টি হয়। একাধিক জায়গায় পুলিশের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধে জড়িয়ে পড়েন আন্দোলনকারীরা। পুলিশের দিকে ছোড়া হয় ইট-পাটকেল, বোতল। পাল্টা পুলিশের তরফে জলকামান দিয়ে বিভিন্ন জায়গায় আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করা হয়। বেশ কিছু জায়গায় লাঠিচার্জ করা হয়। ফাটানো হয় কাঁদানে গ্যাসের শেল। উল্লেখ্য, এই আন্দোলনের পেছনে বিজেপি ও আরএসএসের স্পষ্ট মদত রয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে। এমনকী, ছাত্র সমাজ নামে সংগঠনের প্রথম সারির এক প্রতিনিধি শুভঙ্কর হালদার নিজে আরএসএস-এর সদস্য বলেও মেনে নেন গতকালের সাংবাদিক বৈঠকে।