নবান্ন অভিযান থেকে গ্রেপ্তার ২২০ জন, আহত ১৫ জন পুলিশ কর্মী
এই সময় | ২৮ আগস্ট ২০২৪
মঙ্গলবার নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছিল ‘পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ’ নামে একটি সংগঠন। অভিযানকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় সাঁতরাগাছি, ফোরশোর রোড, হাওড়া সেতু, হেস্টিংস এলাকা। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টির অভিযোগ। পাল্টা পুলিশের তরফে আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জ, কাঁদানে গ্যাস, জলকামান প্রয়োগ করা হয়েছে। এদিনের নবান্ন অভিযানে মোট ১৫ জন পুলিশ কর্মী আহত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।নবান্ন অভিযানকে ‘বেআইনি’ বলে আগেই জানিয়েছিল পুলিশ। নির্দিষ্ট নিয়ম অনুযায়ী এই অভিযানের পুলিশ সূত্রে খবর, এদিনের নবান্ন অভিযান থেকে মোট ২২০ জন জনকে গ্রেপ্তার করেছে। এর মধ্যে কলকাতা পুলিশ ১২৬জনকে গ্রেপ্তার করেছে। যার মধ্যে ১০৩ জন পুরুষ ও ২৩ জন মহিলা আন্দোলনকারী। এছাড়াও রাজ্য পুলিশের হাতে ধৃতের সংখ্যা ৯৪ জন। আন্দোলনকারীদের ইটের আঘাতে মোট ১৫ জন পুলিশ কর্মীর আহত হওয়ার খবর পাওয়া গিয়েছে। যার মধ্যে ছিলেন চণ্ডীতলা থানা সিআই সন্দীপ গঙ্গোপাধ্যায়। মাথায় গুরুতর চোট পেয়েছেন তিনি।
দক্ষিণবঙ্গ ডিজি সুপ্রতীম সরকার মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এক সাংবাদিক বৈঠক করে জানান, ছাত্র আন্দোলনের নামে ৩ ঘণ্টা ধরে টানা আক্রমণ চালানো হল। এই অভিযানের নামে জনজীবন ব্যাহত করা হয়েছে, একাধিক পুলিশ কর্মী আহত হয়েছেন বলে জানান তিনি। এমনকী, এই অভিযানের নেপথ্যে নিশ্চয়ই কোনও শক্তির ইন্ধন রয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
দক্ষিণবঙ্গ ডিজি জানান, শান্তিপূর্ণ ভাবে এই আন্দোলন করা হবে বলে জানানো হয়েছিল। এরপরেও একাধিক জায়গায় ব্যারিকেড ভেঙে ঢোকার চেষ্টা, পুলিশের উপর আক্রমণের ঘটনা ঘটেছে বলে তিনি দাবি করেন। ডিজি বলেন, ‘আন্দোলনকারীরা প্রথম থেকে বলে আসছিলেন শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের কথা। অথচ এদিন সকাল থেকেই তাঁরা যেভাবে একের পর এক পুলিশের ব্যারিকেড ভাঙল, পরিকল্পিতভাবে পুলিশকে রক্তাক্ত করল, তাতে স্পষ্ট ওরা বড় ধরনের কোনও অশান্তি তৈরি করতে চেয়েছিল।’ তবে পুলিশ ওই প্ররোচনায় পা না দিয়ে ধৈর্য্যের পরীক্ষা দিয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। কিছু জায়গায় উন্মত্ত আন্দোলনকারীদের ঠেকাতে বলপ্রয়োগ করা হয়েছে বলে পুলিশের তরফে দাবি করা হয়েছে।