জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: আরজি কর-কাণ্ডে বিজেপির নবান্ন অভিযানে বার বার আক্রান্ত হল পুলিস। গঙ্গার এপার-ওপার, দুপাড়েই আক্রান্ত পুলিস। হাওড়া ময়দানে পুলিসকে তাড়া আন্দোলনকারীদের। পুলিসকে রাস্তায় ফেলে মারধর করা হয়। ওদিকে অভিযানের শুরুর দিকেই সাঁতরাগাছিতে পুলিসকে লক্ষ্য করে আন্দোলনকারীদের ছোড়া ইঁটে মাথা ফাটে একজন RAF কর্মীর। হাওড়ায় আক্রান্ত হন ২ জন।
এদিকে কলকাতায় বাবুঘাটে নিরস্ত্র ট্রাফিক পুলিসের উপরও আক্রমণ করেন আন্দোলনকারীরা। রীতিমতো লাঠি হাতে ধাওয়া করতে দেখা যায় ওই ট্রাফিক পুলিসের পিছনে। তারপর ওই ট্রাফিক পুলিসকে লক্ষ্য করে লাঠি ছুঁড়ে মারতেও দেখা যায়। বাবুঘাটে ৩ জায়গায় ৩ জন পুলিস আক্রান্ত বলে জানা গিয়েছে। ওদিকে শিয়ালদহতেও আহত এক পুলিসকর্মী। তাঁর মাথা ফেটে গিয়েছে বলে খবর। সুরেন্দ্রনাথ কলেজের সামনেও একজন পুলিসকর্মী আক্রান্ত বলে খবর। এভাবে জায়গায় জায়গায় পুলিস আক্রান্ত হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, এটা শান্তিপূর্ণ আন্দোলন? ছাত্রের নামে এরা কারা?
আরজি কর-কাণ্ডে ন্যায়বিচারের দাবিতে বিজেপির নবান্ন অভিযানের শুরুতেই এদিন রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে সাঁতরাগাছি। ব্যারিকেড ভেঙে ফেলেন আন্দোলনকারীরা। জাতীয় পতাকা হাতে সাঁতরাগাছিতে দেখা যায় আন্দোলনকারীদের। তুমুল উত্তেজনা ছড়ায়। আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিস জলকামান দাগে। তারপর মুহুর্মুহু কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটায়। লাঠিচার্জও করে পুলিস। উত্তেজনা ছড়ায় হাওড়া সেতুতেও। হাওড়া সেতুতে পুলিসের ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করেন বিক্ষোভকারীরা। ব্যারিকেডের একাংশ ভাঙতেই জলকামান চালাতে শুরু করে পুলিস। ব্যবহার করা হয় কাঁদানে গ্যাসও। লাঠিচার্জও করে পুলিস। পুলিসের ত্রিমুখী আক্রমণে ছত্রভঙ্গ হয়ে যায় বিক্ষোভকারীরা।
এরপর সময় গড়াতেই গন্ডগোল, উত্তেজনা ছড়ায় আরও নানা জায়গা। হেস্টিংস মোড়ে ঝামেলা বাঁধে। ফোরশোর রোডেও নতুন করে ঝামেলা হয়। কাজিপাড়ায় ঝামেলা হয়। ওদিকে লক অ্যান্ড কী করে দেওয়া হয় নবান্নের প্রতিটি গেট। প্রসঙ্গত, এদিন সকাল ১১টাতেই নবান্নে পৌঁছে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। দিনভর নবান্নেই ছিলেন তিনি।