গৌতম ব্রহ্ম: আর জি করের কাণ্ডের প্রতিবাদে উত্তাল গোটা রাজ্য। রোজই চলছে প্রতিবাদ মিছিল, জমায়েত। মঙ্গলবার ছিল পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজের ডাকে নবান্ন অভিযান। সেখানে পুলিশি হেনস্তার প্রতিবাদে বুধবার ১২ ঘণ্টা ধর্মঘটের(Bangla Bandh) ডাক দিয়েছে বিজেপি। আবার একই দিনে রয়েছে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠান। তবে কি আগামিকালও রাস্তায় অশান্তি হবে? চলবে না গাড়ি? বন্ধ থাকবে স্কুল-কলেজ-দোকান-বাজার?
রাজ্য়ে বন্ধ হয় না। জবজীবন সচল থাকবে। সাফ বার্তা দিয়েছে রাজ্য সরকার। নবান্নে সাংবাদিক সম্মেলন করে মুখ্যমন্ত্রীর মুখ্য উপদেষ্টা আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, “কালকের বনধ মানা হবে না। আগামী কাল রাজ্যে জনজীবন সচল থাকবে। সবকিছু চালু থাকবে। দোকানপাট খোলা থাকবে। যানবাহন পরিষেবা স্বাভাবিক রাখা হবে। সকলের কাছে অনুরোধ বনধের অংশ হবেন না।” সরকারি কর্মীদের কাজে যোগ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কারও কোনও ক্ষতি হলে তা সরকার দেখবে। হাসপাতালে ভর্তি থাকা-সহ নির্দিষ্ট কিছু কারণ ছাড়া সরকারি কর্মীরা ২৮ তারিখ অফিস না এলে বেতন কাটা হবে।
আগামিকাল তৃণমূলের ছাত্র পরিষদের অনুষ্ঠান রয়েছে। পার্শ্ববর্তী জেলা থেকে বহু কলেজ পড়ুয়া সেই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আসবেন। কিন্তু এই বন্ধের জেরে ব্যাহত হতে পারে ট্রেন পরিষেবা। এই আশঙ্কায় রেল কর্তৃপক্ষের কাছে পরিষেবা স্বাভাবিক রাখার আবেদন জানান রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। বলেন, “ধর্মঘটের ডাকে অর্থনীতিকে আঘাত করা হচ্ছে। ধর্মঘটে সাহায্য করবেন না।”