ফের অমানবিক ঘটনা, গ্রামবাসীদের তাড়া খেয়ে নদীতে শাবক-সহ মা হাতি
এই সময় | ২৮ আগস্ট ২০২৪
ফের হাতির প্রতি নির্দয় আচরণ। ঘটনা সেই ঝাড়গ্রামে। গ্রামবাসীদের তাড়া খেয়ে মা-সহ শাবক হাতিকে বাধ্য হয়ে নামতে হয় নদীতে। প্রাণহানির আশঙ্কা ছিল দুটি প্রাণীরই। কোনওরকমে জল থেকে উঠে পালাতে সক্ষম হয় হাতি দুটি। ঘটনার নিন্দা বিভিন্ন মহলে।কয়েকদিন আগেই ঝাড়গ্রামে জ্বলন্ত শলাকায় বিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে একটি স্ত্রী হাতির। যার প্রতিবাদ চলছে রাজ্য জুড়ে । এর মাঝেই ফের অমানবিক ঘটনা ঝাড়গ্রামে। অভিযোগ, একটি শাবক সহ স্ত্রী হাতিকে একদল মানুষ তাড়া করে। মানুষের তাড়া খেয়ে নদীতে নামতে বাধ্য হয় হাতি দুটি। জলে ডুবে মৃত্যুর আশঙ্কা ছিল। মানুষের তাড়া থেকে বাঁচতে শাবক নিয়ে ভরা নদী পার করে যায় মা হাতি। আর এই ঘটনার পরেই সমাজমাধ্যমে তীব্র প্রতিবাদ জানাতে শুরু করেছেন পশুপ্রেমীরা।
মঙ্গলবার ঝাড়গ্রাম বন বিভাগের মানিকপাড়া রেঞ্জের চিতলবনী এলাকায় কংসাবতী নদী পার করে মেদিনীপুরে যায় মা হাতি ও শাবক। বন দপ্তর সূত্রে খবর, শাবকটির বয়স দু’সপ্তাহ। সোমবার রাতে কলাইকুন্ডা রেঞ্জ থেকে মা ও শাবকটি দল থেকে আলাদা হয়ে মানিকপাড়া রেঞ্জের চিতলবনির নন ফরেস্ট এলাকায় ঢুকে পড়ে। এদিন সকালে কংসাবতী নদীর কাছাকাছি ছিল মা ও শাবকটি। খবর পেয়ে প্রচুর মানুষজন ভিড় করেন।
অভিযোগ, এরপরেই হাতিটিকে উত্যক্ত করতে থাকেন। খবর পেয়ে বন কর্মী ও পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। হাতিটি যেখানে জল কম ছিল সেখান দিয়ে নদী পার করে মেদিনীপুর ডিভিশনের চাঁদড়া রেঞ্জের দিকে চলে যায়। ঝাড়গ্রামের ডিএফও উমর ইমাম বলেন, ‘দল থেকে হাতি ও শাবকটি আলাদা হয়ে নন ফরেস্ট এলাকায় চলে এসেছিল। কিছু লোকজন তাড়া করছিল। আমাদের কর্মী ও পুলিশও ছিল। পরে হাতিটি নদী পার করে চলে গিয়েছে। বাচ্চাটি সুস্থ রয়েছে।’
প্রসঙ্গত, স্বাধীনতা দিবসের দিন ঝাড়গ্রাম শহরে ঢুকে পড়ে পাঁচটি হাতি। তার মধ্যে একটি স্ত্রী হাতিকে তাড়ানোর সময় জ্বলন্ত শলাকা দিয়ে হাতিটিকে বিদ্ধ করা হয়। পরের দিন জঙ্গলমহল জুলজিক্যাল পার্কে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় হাতিটির। হাতিটির এই নির্মম মৃত্যুর প্রতিবাদ হয় গোটা রাজ্য জুড়ে। হুলা পার্টির লোকেরা শলাকা বিদ্ধ করে হাতিটিকে বলে অভিযোগ করা হয়েছিল। যদিও, বন দপ্তর দাবি করে, হুলা পার্টির কেউ ওই জ্বলন্ত লোহার রড ছোড়েনি। রড ছোড়া হয়েছিল জনতার ভিড় থেকে।