অমাবস্যায় আলোর সমাহার, এ বার তারাপীঠের দ্বারকা নদীর পাড়ে গঙ্গারতি
এই সময় | ২৮ আগস্ট ২০২৪
অমাবস্যায় আলোর সমাহার। পর্যটকদের জন্য দারুণ উপহার তারাপীঠে। কৌশিকী অমাবস্যায় তারাপীঠে পর্যটকদের জন্য দ্বারকা নদীর পাড়ে গঙ্গা আরতির আয়োজন। জেলা পর্যটনের মুকুটে নতুন পালক যুক্ত হতে চলেছে।সম্প্রতি এই আরতির আয়োজন নিয়ে তারাপীঠ উন্নয়ন পর্ষদের অফিসে বৈঠকও করেন জেলাশাসক। এবার কৌশিকী অমাবস্যার দিন থেকেই দ্বারকা নদীতে আরতির আয়োজন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ইতিমধ্যে প্রস্তুতিও শুরু হয়েছে। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে পাড় বাঁধানো ও আরতির স্থান তৈরি করার কাজ চলছে।
প্রসঙ্গত, তারাপীঠ মন্দিরে পুজো দিতে এলে পুজো দেওয়ার পরে আটলা মন্দির এবং বীরচন্দ্রপুর ছাড়া আর তেমন কোনও দর্শনীয় স্থান ছিল না পর্যটকদের জন্য। সন্ধ্যা আরতি শুরু হলে এটাও পর্যটকদের কাছে অন্যতম আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হবে বলেই আশা করা হচ্ছে। যার জন্য দ্বারকা নদীর পশ্চিম দিকে কয়েক কোটি টাকা খরচ করে সাজানো হচ্ছে নদীর পাড়। রাস্তা বানানো ছাড়াও টাইলস দিয়ে পর্যটকদের বসার জন্য জায়গা তৈরি করা হচ্ছে। লাগানো হবে রঙিন ফুলের গাছ।
বারাণসীর মতোই দ্বারকাবক্ষে আরতি দর্শন করতে পারবেন পুণ্যার্থীরা। প্রতিদিন সন্ধ্যায় দেবীর আরতির সঙ্গেই পঞ্চপ্রদীপ হাতে তারাপীঠের সেবাইতরা এখানে আরতি করবেন। বছরের ৩৬৫দিন বারাণসীতে এই গঙ্গা আরতির আয়োজন হয়ে থাকে। পর্যটক আকর্ষণ বাড়াতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে কলকাতার বাজে কদমতলা ঘাটে শুরু হয়েছিল গঙ্গারতি। এবার রাজ্যের অন্যতম অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র তারাপীঠেও এই সন্ধ্যা আরতির প্রস্তাব দিয়েছেন প্রশাসন।
যেহেতু কৌশিকী অমাবস্যা আর বেশি দেরি নেই, সেহেতু দ্রুততার সঙ্গে কাজ করছে TRDA। তারাপীঠ মন্দির কমিটির সভাপতি তারাময় মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘ইতিমধ্যেই কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। শ্মশানের পাড় রেলিং দিয়ে বেঁধে দেওয়া হচ্ছে যাতে সেখানে বসে বা দাঁড়িয়ে সন্ধ্যা আরতি দেখতে পারেন পর্যটকরা। শ্মশানের পাশে যেহেতু দ্বারকা নদী তাই পর্যটকরা যাতে কোনও সমস্যার সম্মুখীন না হন সেই কথা মাথায় রেখে এই পাড় বেঁধে দেওয়ার কাজ চলছে। এই বিষয়ে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে তারাপীঠ মন্দির কমিটি।